মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

প্রতিনিধি আবশ্যক :
বহুল প্রচারিত অনলাইন পত্রিকা জয় বাংলা নিউজ ডট কম ( www.joibanglanews.com)এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা/থানা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক (খালি থাকা সাপেক্ষে) প্রতিনিধি আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীদের পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, অভিজ্ঞতা ( যদি থাকে) উল্লেখ পূর্বক জীবন বৃত্তান্ত এবং মোবাইল নাম্বার সহ ইমেইলে ( joibanglanews@gmail.com ) আবেদন করতে হবে।
যশোরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা বন্ধের উপক্রম

যশোরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে বৈকালিক স্বাস্থ্য সেবা বন্ধের উপক্রম

জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক :
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, অফিস পরবর্তী সময় দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা। চলতি বছরের ১৩ জুন থেকে মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা শুরু হয়। অন্যান্য হাসপাতালের পাশাপাশি যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালেও এদিন থেকে শুরু হয় “বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা।” প্রথম দিকে সেখানে ৫০ থেকে ৭০ জন রোগী চিকিৎসা নিতেন। কিন্তু বর্তমানে আগের মতো রোগী আসছে না। এখন রোগী কমে সর্বোচ্চ ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় শুক্রবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন চিকিৎসা দেয়া হয়। হাসপাতালে যারা সকলে বহির্বিভাগে চিকিৎসা পান না, অথবা যারা ক্লিনিকে ৬শ, ৭শ টাকা ফি দিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন না কেবলমাত্র তারাই বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা নেন। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের বৈকালিক চিকৎসা সেবায় রোগীদেও প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না বলে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক জন জানিয়েছেন। কারণ চিকিৎসক তালিকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নাম নেই। অথচ তাদের চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে বেশি আসেন রোগীরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না পেয়ে তারা ফিরে যান ক্লিনিক কিংবা বেসরকারি হাসপাতালে।
সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের যে সকল জুনিয়র চিকিৎসক বিসিএস, এফসিপিএস ডিগ্রি নিয়েছেন তাদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় দায়িত্ব দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুপরিচিতি কোন চিকিৎসকের নাম ওই তালিকায় নেই। সুপরিচিতি চিকিৎসকরা বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকেই থাকছেন। একারণে জেনারেল হাসপাতালের বৈকালিক চিকিৎসায় জনসাধারণের আগ্রহ কমছে। তাছাড়া হাসপাতালে এক একটি বিভাগে রয়েছে ৩ জনের অধিক চিকিৎসক। প্রত্যেক বিভাগের চিকিৎসক যদি পালাক্রমে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা দেন তাহলে রোগীরা কাক্সিক্ষত সুবিধা পান। কিন্তু সব বিভাগের চিকিৎসক প্রতিদিন সেবা না দেয়ার কারণে চিকিৎসা সম্পর্কে রোগীরা অনিশ্চয়তায় থাকেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মো. হারুন-অর-রশীদ বলেন, চিকিৎসাটা ভাল ও জনকল্যাণমূলক। কিন্তু বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার বিপক্ষে অবস্থান আছে অনেকের। প্রত্যেক বিভাগের চিকিৎসক স্ব স্ব বিভাগে বসলে চিকিৎসা কার্যক্রম আরো গতিশীল হতো বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved  2019 Joibanglanews.com এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
Translate »