শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৫ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক :
যশোর সদর উপজেলার কচুয়ায় ছাত্রলীগ কর্মী রাকিবুল ইসলাম ইমন হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় এক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের শাহাবাটি গ্রামের ইমনের বাবা শাহাবুদ্দিন গাজী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
আসামিরা হলো, কচুয়া নিমতলী গ্রামের মোস্তাক হোসেন , হাফিজুর রহমান ধাবক , নুরে আলম সিদ্দিকী পলাশ , মুনফেসপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম শাহের খান , নিমতলী গ্রামের ইকরাম হোসেন , ইসমাইল গাজী , মোহাম্মদ গাজী , দেয়াপাড়ার টিটো হোসেন , নিমতলী গ্রামের সামাদ ধাবক , আফজাল হোসেন , চাউলিয়া গ্রামের বাবুল বিশ্বাস এবং ফারুক হোসেন ।
এজাহারে শাহাবুদ্দিন গাজী উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে রাকিবুল ইসলাম ইমন ইট বালুর ব্যবসা করতেন। এলাকায় সামাজিক অবস্থান নিয়ে আসামিদের সাথে তার ছেলের বিরোধ চলে আসছিল। সে কারণে তাকে খুন জখমের হুমকিও দিতো। গত ১০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাকিবুল তার বন্ধু ইমরানের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যায়। রাতে রাকিবুল তার বন্ধু ইমরান, ইসতিয়াক আহমেদ অপু, শহিদুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন বটুকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে নিমতলী টেকের বাজারে পৌছালে আসামিরা তাদের গতিরোধ করে এবং মারপিট করে বাজারে আটকে রাখে। সে সময় তার ছেলে ও সঙ্গীদের ছাড়াতে চাইলে তাকেও লোহার রড, হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। মাটিতে পড়ে গেলে সকলে মিলে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে আরো অনেকে গিয়ে তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেও মারপিট করে পালিয়ে যায়। পরে আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার ছেলে রাকিবুল ইমলাম ইমনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে নিউরো সাইন্স হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে রাকিবুল ইসলাম ইমন মারা যায়। পরে তাকে যশোরে এনে দাফন সম্পন্ন করে থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নরেন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাজমল হাচান জানিয়েছেন, বুধবার সকালে রবিউল ইসলাম শাহের খানকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply