শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ ডেস্ক:
কালীঘাটে তৃণমূলের মেগা বৈঠক। দলের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে অন্দরে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার পর আবার শীর্ষনেতাদের একাংশকে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও কথাবার্তা বলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ ও সুব্রত বক্সি। সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকে বারবার জোর দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, দলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। বলেছেন, “আমি সংগঠন শক্তিশালী করতে পারিনি।” দলের বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েন।
এদিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোড়াতেই দুর্নীতি ইস্যুতে কথা বলেন। দলের নেতাদের প্রতি তাঁর বার্তা, “যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার হচ্ছে৷ আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা হস্তক্ষেপ করি না৷ সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি একজোট হয়ে অপপ্রচার করছে। তবে কোনও চিন্তা করবেন না, আপনারা মাথা উঁচু করে কাজ করুন। বুক ফুলিয়ে মানুষকে বোঝান, আমরা আমাদের টাকায় গ্রামীণ রাস্তা করছি। এতে কেন্দ্রের টাকা নেই।” ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ ও ‘দিদির দূত’ কর্মসূচি পালনে সকলকে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচি সফলে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন তিনি।
সূত্রের খবর, এদিন নেত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান হাজি নুরুল ইসলাম, বিধায়ক অখিল গিরি, অসিত মজুমদার, ব্রজকিশোর গোস্বামী। নুরুল ইসলামের উদ্দেশে তিনি বলেন, ”তোমার কাজ সংখ্যালঘু সংগঠন শক্তিশালী করা। সে তুমি করোনি৷ আমার কাছে যা রিপোর্ট আছে তাতে তুমি জেলায় জেলায় যাওনি।” ব্রজকিশোর গোস্বামীকে বলেন, ”বেড়াল কামড়ানোর চিকিৎসা চেয়ে তোমার কাছে গিয়েছিল ব্রজ৷ তুমি একটাও ব্যবস্থা করে কেন দাওনি?” সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, বিধায়ক অতীন ঘোষ, পরেশ পালকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”অনেকেই মনোযোগ দিয়ে এই কর্মসূচি করছেন না। পার্টিটা তো আপনাদেরও। কর্মসূচি মনোযোগ দিয়ে করলে পঞ্চায়েতে এর ভাল প্রভাব আপনারা পাবেন। আমি জানি, কারা কারা এই কর্মসূচি মনোযোগ দিয়ে করছেন না। আমাদের কাছে সবরকম রিপোর্ট আসছে। আমরা কিন্তু সেই নেতাদের চিহ্নিত করছি।”
: সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply