সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক: যশোর শহরের মনিহার এলাকা থেকে এক গৃহবধূ অপহরনের ঘটনার ১ মাস ৪ দিন পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ওই গৃহবধূর পিতা বাঘারপাড়া উপজেলার ক্ষেত্রফলা গ্রামের বীর মুক্তি যোদ্ধা মোশারেফ বিশ্বাসের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩৯) একজনকে আসামি করে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) মামলা করেন। মামলার আসামি হচ্ছে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের (সরদারবাড়ি) কামরুল সরদারের ছেলে সাকিব সরদার (২৩)। পুলিশ আসামিকে আটক করেছে।
মামলায় মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে আসমা খাতুন ওরফে শাবনুরের (২২) সাথে শহরের পূর্ববারান্দিপাড়া মোল্লাপাড়া মসজিদের সামনে সৈয়েদ আলীর ছেলে রমজান হোসেনের সাথে ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আসমার একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করে। বর্তমানে কন্যার বয়স ২ বছর। মনিরুলের শ্বশুর বাড়ির সামনে আসামি সাকিব সরদারের বাড়ি। সেই সুবাদে আসামি সাকিব আসমার পূর্ব পরিচিত। আসমা তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাসায় বসবাস করে আসছে। মাঝে মধ্যে আসমা তার নানীর বাড়ি যাওয়া আসা করতো। যাওয়া আসার এক পর্যায়ে আসামি শাকিব আমার মেয়ে আসমার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে। প্রায় সময় সাকিব আমার মেয়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে কুপ্রস্তাবসহ বিরক্ত করতো। আমার মেয়ে তার মোবাইলে কল না দেয়ার জন্য নিষেধ করে। কিন্তু আসামি শাকিব আসামার কর্থায় কোন কর্নপাত করে না দৈহিক সম্পর্ক করার জন্য উত্যক্ত করে। ২৫ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১১ টা ২০ মিনিটের দিকে আসমা তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে আমার বাড়ি আসার উদ্দেশ্যে রিকশা যোগে মনিহার সিনেমা হলে সামনে পৌঁছায়। আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা আসামি শাকিব মনিহার সিনেমা হলে সামনে রিকশা থামিয়ে ফুসলিয়ে আমার মেয়ে আসমা ও তার কন্যা সন্তানকে অপহরন করে একটি প্রাইভেটকারে করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার মোবাইলে ফোন করে আসামি সাকিব বলে তার কাছে আসমা আছে। তারপর আসামিকে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। আমার মেয়েকে খোঁজাখুজি করাকালে ফোনের মাধ্যমে আমার মেয়ে আসমা জানায় তাকে গাজিপুর জেলার কাশিমপুর থানাধীন লতিফপুর বুড়া মার্কেট ২নং ওয়ার্ড সোহেল কমিশনারের ভাড়া বাসায় আটক করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি জানতে পেরে সোহেল কমিশনারের ভাড়া বাসা থেকে গত ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার আমার মেয়ে আসমা ও তার কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করি। একই সাথে স্থানীয় জনসাধারনের মাধ্যমে আসামি শাকিবকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
Leave a Reply