বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৪:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় যশোরের আতাউর রহমান মিন্টু নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৩ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সোমবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এক রায়ে এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আতাউর রহমান মিন্টু যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। সেই একই উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আতাউর রহমান মিন্টু হাজিরবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকার একাধিক লোককে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন। এরমধ্যে একই উপজেলার ইস্তা গ্রামের নুর-উন-নবীর ছেলে খায়রুল ইসলামকে সরকারি চাকরি দেয়ার প্রলোভনে আটকে ফেলে সে। চেয়ারম্যান তাকে সরকারি চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে টাকা দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে সরল বিশ্বাসে চাকরি প্রত্যাশী যুবক খায়রুল ইসলাম ২০১৭ সালের ৩ মার্চ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুকে ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তিতে চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় চেয়ারম্যানের কাছে সে টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা করতে থাকেন। পরবর্তিতে স্থাণীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এক শালিস মিমাংসায় খায়রুল ইসলামের পরিবারকে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৩ লাখ টাকার একটি চেক দেন চেয়ারম্যান মিন্টু। কিন্তু নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ৩ লাখ টাকার চেকটি ব্যাংকে জমা দিয়েও খায়রুলের পরিবার টাকা তুলতে ব্যর্থ হন। বারবার ব্যাংক থেকে চেক প্রত্যাখাত হওয়ার পর এক পর্যায়ে উকিল নোটিশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের অনুরোধ করা হয়। উকিল নোটিশের পরও টাকা ফেরত না দেয়ায় আদালতে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান মিন্টুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন খায়রুল ইসলাম।
মামলার সাক্ষ্য প্রমান শেষে আসামী মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৩ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাকে পলাতক দেখিয়ে এ আদেশ দেয়া হয়।
Leave a Reply