শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
যশোর কোতয়ালি মডেল থানা এলাকায় আবারো বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৫ জুলাই রাতে শহরের আরবপুর পাওয়ার হাউজ পাড়া মসজিদ গলি এক বাড়িতে ও ২৫ জুন রাতে সদর উপজেলার শেখহাটি মসজিদ মোড়স্থ এক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দু’টি চুরির ঘটনায় মঙ্গলবার ২৬ জুলাই রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে দু’টি মামলা হয়েছে।
একটি মামলায় শহরের আরবপুর পাওয়ার হাউজ পাড়া মসজিদ গলি ফাহাদ ম্যানশন বাড়ি নং-৭৩৩, আলাল উদ্দীনের স্ত্রী মোছাঃ ফাহিমা খাতুন বাদি হয়ে বলেছেন,গত ২৪ জুলাই রাত ১২ টায় বাদি ও বাদির বাড়ির লোকজন রাতে একটি কক্ষে শুয়ে পড়েন। ২৫ জুলাই ভোর রাত সোয়া ৪ টার পর ঘুম থেকে উঠে দেখেন বসত বাড়ির ভেন্ডি লেটার,দক্ষিণ পাশের জানালার গ্রীল ভাঙ্গা স্টীলের আলমারী ভাঙ্গা। যার মধ্যে বাদিসহ তার তিন মেয়ের ১৬ ভরি সোনার গহনা মূল্য ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা, নগদ ৬০ হাজার টাকা,ডিজিটাল ক্যামেরা নেই। অপরদিকে, সদর উপজেলার শেখহাটি মসজিদ মোড়ের মৃত সদু সরদারের ছেলে আলী আকবার বাদি হয়ে মামলায় উল্লেখ করেন, ২৫ জুন রাত পৌনে ১২ টায় রাতের খাওয়া দাওয়া করে এবং বসত বাড়ির নীচ তলার একই স্থানে তথা ডাইনিং স্পেপে মোটর সাইকেল যার নং (যশোর ল-১৪-৩৪১০) ইয়াবা এফজেড মূল্য ২লাখ ৩৫ হাজার টাকা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন ২৬ জুন সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠে দ্বিতীয়তলার মেইন গেট খুলতে দেখে বাহির থেকে হ্যাজবোল্ড লাগানো, বাদির ছেলে আসাদুজ্জামান সুজন বসত বাড়ির বেলকনি দিয়ে নিচ তলায় নেমে দেখেন বসত বাড়ির নীচ তলার প্রধান গেট ও ক্লপসিবল গেট খোলা এবং নিচ তলার ডাইনিং স্পেপে রাখা তালামারা মোটর সাইকেল নেই। অজ্ঞাতনামা চোরেরা বাড়ির মেইন গেট ও ক্লবসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে মোটর সাইকেল চুরি করে সটকে পড়ে। খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে,হঠাৎ করে গত কয়েকমাস যাবত যশোর কোতয়ালি মডেল থানা এলাকার ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চুরির অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও তা মামলা হিসেবে নথিভূক্ত না করে প্রাথমিক তদন্তের জন্য ওই এলাকার ক্যাম্প ও ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ ও কোতয়ালি মডেল থানা এলাকার আশপাশ এলাকায় চুরির অভিযোগ কোতয়ালি মডেল থানায় কর্মরত এসআই গনের নামে হাওলা করে। চুরির অভিযোগগুলো তদন্তর নামে সংশ্লিষ্ট থানায় কর্মরত এসআই ও পুলিশ ক্যাম্প এবং ফাঁড়ীতে কর্মরত এসআইগন গাফিলতি করেন। চুরির অভিযোগ তদন্তে তারা নানা গড়িমসি করেন। চুরির অভিযোগগুলো আলাদা ফাইলে রেখে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন বলে সূত্রগুলো দাবি করেছেন। চুরির অভিযোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত্য ব্যক্তিগন পুলিশের উপর নির্ভর করে বসে থাকেন। আর এই সুযোগে পুলিশ দীর্ঘ সময় ক্ষেপন করেন। যার ফলে প্রকৃত চুরির ঘটনাগুলো তদন্তর নামে ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। আর এই সুযোগে চুরির ঘটনা দিনদিন আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় কি পরিমানের চুরির অভিযোগ জমা পড়েছেন ও কতগুলো মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছেন তার খতিয়ে দেখলে বেরিয়ে আসবে এর সত্যতা। সূত্রগুলো আরো বলেছেন, যশোর পুলিশ সুপারের কাছে যশোরে কর্মরত সাংবাদিকরা তার কার্যালয়ে মত বিনিময় সভায় বাসা বাড়িতে চুরির ব্যাপারে মামলা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করলেও তার কোন সুরহা হয়নি ।
Leave a Reply