সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২, ০১:২৯ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ ডেস্ক:
বাণিজ্য যেন ফুলেফেঁপে উঠছে। একের পর এক প্রজেক্টের সফল রূপায়ণ করে প্রযুক্তির জগতে তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। এবার তাঁর দৌলতে বিমান, জাহাজেও টানা মিলবে ইন্টারনেট পরিষেবা। তার জন্য আলাদা করে কোনও খরচ দিতে হবে না যাত্রীদের। এলন মাস্কের সংস্থার এই আবেদনে সবুজ সংকেত দিল মার্কিন প্রশাসন। এর জন্য কাজ করবে স্পেস এক্স। লো আর্থ অরবিট বা LEO-তে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে এই সংস্থা।
বিমান-জাহাজকেও ইন্টারনেট পরিষেবার আওতায় আনার নেপথ্যে স্টারলিংক। এই স্টারলিংকের মূল কাজ, মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা। ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২৭০০ টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে স্টারলিংক। তবে তার সব ক’টিই যে সফল হয়েছে, তা নয়। বেশ কিছু স্যাটেলাইট মাঝপথে ভেঙে পড়েছে। তবে হাল ছাড়েনি সংস্থা। কাজ চালিয়ে গিয়েছিল। আর আত্মবিশ্বাস নিয়েই মার্কিন প্রশাসনের কাছে এলন মাস্ক আবেদন জানান, জাহাজ, বিমানের মতো চলমান যানে ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে চায় তাঁর সংস্থা। এবার তাতে অনুমোদন মিলল।আমেরিকার ফেডারেশন কমিউনিকেশন কমিশন বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্পেস এক্সের স্যাটেলাইট সিস্টেমকে আরও প্রশস্ত করা হচ্ছে, চলমান অবস্থায় ইন্টারনেট পরিষেবা আরও ভালভাবে দেওয়ার উদ্দেশে।
স্টারলিংকের বাণিজ্যিক বিভাগের প্রধান জোনাথন হফলার বলছেন, “আমরা যাত্রীদের চাহিদা নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক। তাঁদের চাহিদা আমরা ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। বিমানযাত্রীদের জন্য শিগগিরই ভাল কোনও পরিকল্পনা আনা হবে।” ২০২১ সাল থেকেই এই পরিষেবার দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন এলন মাস্ক। এ বছর তা অনুমোদন করা হল। মাসে ১১০ ডলার খরচ করে স্টারলিংকের পরিষেবা ইতিমধ্যেই নিয়েছেন কয়েকজন। তাঁরা বেশ খুশি বলেই দাবি সংস্থার। প্রাথমিকভাবে ছোট-বড় জলযান, এয়ারক্রাফট, বড় ট্রাকে সর্বদা ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে স্টারলিংক।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হিসেবে স্পেস এক্স নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে আগেই। যার জন্য মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। আগামী দিনে চন্দ্র ও মঙ্গল অভিযানেও বড়সড় পরিকল্পনা রয়েছে স্পেস এক্স। আর এবার তারা প্রযুক্তির জগতেও পা রাখল। : সংবাদ প্রতিদিন
Leave a Reply