মঙ্গলবার, ২৮ Jun ২০২২, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
মণিরমাপুরের ভরতপুর গ্রামের একরামুল ইসলাম হত্যা মামলায় হেলাল উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। মামীর সাথে পরোকীয়া করায় মামা কামরুল ও আমিনুর রহমান পরিকল্পিত ভাবে এমরামুলকে হত্যা করেছিল। এমরামুলের লাশ গুম করতে সহযোগীতা করেছিল জানিয়েছে হেলাল উদ্দিন। বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে পলাশ কুমার দালাল আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। হেলাল উদ্দিন ষোলখাদা গ্রামের আবু কালাম দফাদারের ছেলে।
হেলাল উদ্দিন জানিয়েছে, তার মামা কামরুলের স্ত্রীর সাথে ইকরমুলের পরোকিয়া ছিল। একরামুল নিষেধ করলেও বিষয়টি সে কর্ণপাত করে না। চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে তার মামা আমিনুর রহমান ও কামরুল ইসলাম ফোন করে ইমরামুলকে হত্যার বিষয়টি তাকে জানায়। এরপর তারা ইকরামুলের লাশ বস্তায় ভরে মোটরসাইকেলে তার গ্রামের নিয়ে যায়। এরাতে তারা তিনজন মদনপুর শৈলীর মাঠের একটি পুকুর পাড়ে গর্ত করে একরামুলের লাশ মাটি চাপা দিয়ে রেখে ছিল বলে জানিয়েছে।
মামলার অভিযোগ জানা গেছে, চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে একরামুল নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হলে পিবিআই ৩০ মার্চ কামরুল ও তার ভাই আমিনুর রহমানকে আটক ও তাদের স্বীকারোক্তিতে ইকরামুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এব্যাপারে নিহতের চাচা আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে আটক দুইজনসহ ৭ জনের নামউল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই সৈয়দ রবিউল ইসলাম আটক দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। আসামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হেলালকে আটক ও রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হেলাল নিহত একরামুলের লাশ গুমের ব্যাপারে দুই মামাকে সহযোগীতা করেছিল বলে জানিয়েছে।
Leave a Reply