শনিবার, ২৫ Jun ২০২২, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
যশোরে এক পরিবারের তিনজনের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে রেজাউল ইসলাম। আসামিরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় গাংনী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, তার স্ত্রী পান্না ও ছেলে জহির উদ্দীন দিপু। তারা বর্তমানে যশোর সদর উপজেলার রামনগর মসজিদের পাশের বাসিন্দা। অভিযোগ আমলে নিয়ে মানবপাচার অপরাধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গোলাম কবীর কোতোয়ালি থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি একজন কৃষক। মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুর শ্বশুর বাড়ি তার গ্রামে। সেই সুত্র ধরে পরিচয় হয়। মিন্টু জানায়, ওমানে তার যোগাযোগ রয়েছে। ভাল বেতনে তিনি চাকরি দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। এ কথার সাথে তাল মিলিয়ে অন্য আসামিরাও বাদীকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায় বাদী রাজি হন। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন। এছাড়াও পাসপোর্ট তৈরির জন্য আরও পাঁচ হাজার টাকাসহ যাবতীয় কাগজপত্র দেন। একপর্যায় তাকে ভিসা দেয়া হয়। এরপর বাদীকে ওমানে পাঠানো হয়। ওমানে পৌছানের পর তাকে মিন্টুর লোকজন একটি হোটেলে রাখে। এরপর কয়েকদিনপর মিন্টুর লোকজন বাদীকে ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেরায় বাদী। এক পর্যায় পুলিশের কাছে আটক হয়। দির্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে সরকারীভাবে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপর দেশে এসে মিন্টুর কাছে গেলে তিনি প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেন। এবং টাকা ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু দিনের পর দিন টাকা ফেরত না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, শুধু রেজাউল নয়, আরও অনেকেই আছেন যারা মিন্টুর প্রতারণার শিকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু মিন্টু টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। তাদের কয়েকজন এই মামলার সাক্ষী হয়েছেন।
Leave a Reply