মঙ্গলবার, ২৮ Jun ২০২২, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
তুমিহীন একদিন
গোলাম কবির
এক মুঠো সকালের রোদ্দুর এসে আমার
ঘুমন্ত চোখের পাতায় চুমু খেয়ে গেলো,
আমি ওকে তুমি ভেবে জড়িয়ে ধরতেই
জানালা দিয়ে পালিয়ে গেলো।
ওকে আমি বললাম, “আমাকে তুমি
জাগালে কেনো? ” ও তখন খিলখিল করে
হেসে উঠলো তোমার মতো!
তারপর সারাটি দিন কেটে গেলো
তোমার ভাবনায়, সন্ধ্যে হতেই ঘর ছেড়ে
একটু বের হয়ে নদীর ধার ঘেঁসে
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে একটু বসলাম
নদীর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বথ গাছের
নীচে। তখন হঠাৎ করেই একটা
পলাশ ফুল দেখে তোমার রাঙা ঠোঁটের
কথা মনে হতেই মনটা ভীষণ
খারাপ হয়ে গেলো।
ধুস্ শালা, বলে উঠে দাঁড়াতেই একজোড়া
নাম না জানা পাখিদের সংসারের খুনসুটি
দেখতে দেখতে আমারও খুব
সংসার করতে ইচ্ছে হচ্ছিলো পাখিদের
মতো, আজ এখানে তো কাল ওখানে।
আচ্ছা, পাখিরা কি সত্যিই সংসার করে
নাকি বাউলের মতো ঘুরে বেড়ায় গান
গেয়ে গেয়ে? আবার হাঁটতে হাঁটতে
যখন শহরটাকে চষে ফিরছি বাড়ি ফেরার
ছলে আসলে কিন্তু তখন মনে মনে
আমি তোমাকেই খুঁজছিলাম!
কিন্তু কোথায় তুমি? এশহরে এখন আর
তুমি থাকো না বহুদিন হলো।
তোমার আগের বাসাটার সামনে এসে
চিৎকার করে তোমাকে ডাকতে ইচ্ছে
করছিলো, মনে হচ্ছিলো একটু ডাক দিই
না, যদিবা তুমি সেই নীল ওড়নাটা পরে
হাসিমুখে বেরিয়ে আসো!
হা কপাল, সে তো আর হবার নয়!
একটা ট্রেন তখন কোত্থেকে এসে
তীব্র গতিতে হুইশেল বাজিয়ে চলে গেলো
তোমার চলে যাবার ক্ষণ মনে করিয়ে দিয়ে।
আমার হৃদয়টা তখন ট্রেনের চাকার
নীচে পিষ্ট হতে হতে থেঁতলে গেলো।
Leave a Reply