মঙ্গলবার, ২৮ Jun ২০২২, ১২:৩২ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে অগ্নি-দুর্ঘটনার দায় কার?
জিএম মুছা
গগনভেদী বিশ্রী বিকট শব্দে,
চট্টগ্রাম- সীতাকুণ্ডের আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে,
কুণ্ডলী পাকিয়ে কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেলো চারিদিক,
চার মে দুই হাজার বাইশ,
শনিবার রাত্র সাড়ে নয়টা ঘটে গেলো
অনাকাঙ্ক্ষিত স্মরণ কালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা,
বলতে পারেন এ দায় কার?
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি কেশবপুর গ্রামে
বিএম ডিপো টার্মিনালে- রাসৈনিক কনটেইনারে ,
আকস্মিকভাবে আগুন লেগে,
বিকট শব্দে একের পর এক বিস্ফোণে কেঁপে উঠলো চট্টলার মাটি,
মুহুর্তের মধ্যে সেখবর ছড়িয়ে পড়লো চারিদিকে,
হাহাকার গগনবিদারী চিৎকার চেঁচামেচি,
ভয়াবহ বিভীষিকাময় কঠিন মৃত্যু যন্ত্রণা কাতর,
অসহায় মানুষের বাঁচাও বাঁচাও করুন
আত্মচিৎকার বাঁচার অব্যর্থ চেষ্টা,
বড়ই করুণ তাদের সেই কাকুতি-মিনতি,
মানুষের হৃদয়টাকে ক্ষতবিক্ষত করে দু-চোখ জলে ভিজে গেলো,
হৃদয়ে দুমড়ে মুষড়ে হলো খান খান ,
দূর থেকে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে ভেসে এলো চিৎকার ,
বিভীষিকাময় লেলিহান অগ্নি শিখার,
কন্টেইনারের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ,
অসহায় উপস্থিত উদ্ধারকর্মী- অগ্নিনির্বাপক বাহিনী ,
আটকাপড়া স্বজনদের হৃদয় মথিত করা আজহারী করুণ আর্ত্মনাদ !
মুহূর্তের মধ্যে ঝরে গেলো অর্ধশত তাজা প্রাণ আহত শত শত,
চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ,
লাশের স্তূপে পরিণত হলো,
কাঁটা, ফাটা ছেড়া, পোড়া ক্ষত বিক্ষত মানুষের রক্তে বয়ে গেলো স্রোত ,
মানুষ পোড়ানো কাঁচা মাংসের ঝাঁঝালো বিশ্রী গন্ধে নাক বন্ধ হয়ে এলো,
বাতাস ভারী থেকে ভারী, দীর্ঘ লাশের সারি ,
প্রকৃতি বড়ই নিষ্ঠুর ক্ষমা করতে জানে না কাউকে !
একটু অসতর্ক হলেই মৃত্যুদূত দ্রুত নিজের কাজ শেষ করে আপন মনে,
কোন দোষ রাখেন না সৃষ্টিকর্তা নিজের কাঁধে,
পৃথিবীর তাবৎ সরকারি নীতিনির্ধারকরা কোন
কিছু অনুমোদনের আগে ভালোভাবে ভাবুন তো একবার,
আপনার কলম দিয়ে অবৈধ পন্থায় কত জনের মৃত্যুর সনদ লিখলেন?
একটু ভেবে দেখুনতো!
নিয়ম-নীতি আইন কানুন মেনে সতর্ক হলেই
হয়তোবা দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু রোধ হতে পারে শতভাগ অনেকখানি,
তানা হলে মুক্তি পাবে না কেহ,
আপনার-আমার মৃত্যুদূত অতি সন্নিকটে ,
চেনা অচেনা পথে যাতায়াত করে অনবরত,
দিন পল ক্ষনে ক্ষনে,
সব পথ তার বড় বেশি চেনা,
আপনার আমার সকলের মোবাইল ফোন নম্বর,
সব ঠিকানা ফেসবুক আইডি,
ই-মেইল জী-মেইল পাসওয়ার্ড নেই কোন কিছু তার অজানা।
Leave a Reply