সোমবার, ২৭ Jun ২০২২, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
এক রিকশা চালকের স্ত্রী খাদিজা বেগম পরকীয়া প্রেমে ফুড গোডাউনের নিরাপত্তা প্রহরী সুলতান হোসেনের প্রলোভনে নগদ ৩০ হাজার টাকা,দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা ও মূল্যবান কাপড় চোপড় এবং শিশু মেয়েকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনায় বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়, শংকরপুর জিরো পয়েন্ট মোড় ও চার খাম্বার মোড়স্থ ফুড গোডাউন কোয়ার্টার এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এক মাত্র শিশু ও স্ত্রীকে হারিয়ে রিকশা চালক আকরাম হোসেন অসহায় দিনাতিপাত করেছে। স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে আকরাম হোসেন যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ ও স্ত্রীকে প্রলোভন দিয়ে ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য সুলতানের বিরুদ্ধে খাদ্য অধিদপ্তর,খাদ্য ভবন মহা পরিচালকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
বেজপাড়া সাদেক দারোগার মোড়ের শেখ অরুপ আলীর ছেলে আকরাম হোসেন বাদি হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগে বলেন,তিনি রিকশা চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তার স্ত্রী শংকরপুর জিরো পয়েন্ট মোড় এলাকার আবুল গাইনের মেয়ে খাদিজা বেগমের সাথে ঘর সংসার করাকালে তাদের কোল জুড়ে একটি মেয়ে সন্তান পৃথিবীতে আসে। তার নাম সাদিয়া আক্তার আয়েশা(৭)। স্ত্রী ও শিশু মেয়ে সাদিয়া আক্তার আয়েশা নিয়ে আকরামের জীবন সুখের চলছিল। এরই মধ্যে আকরাম হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ খাদিজা আকরামের অবাধ্য হয়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো চলাফেরা করার এক পর্যায় সে স্বামীর অগোচরে চার খাম্বার মোড়স্থ ফুড গোডাউন কোয়ার্টারের বাসিন্দা যশোর খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরী (দারোয়ান) সুলতান হোসেনের সাথে প্রেমে মক্ত হন। সুলতান বিয়ের প্রলোভন দিয়ে খাদিজা বেগমকে নিয়ে একবার বের করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সুলতানের দুলাভাই সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কালামের মধ্যস্থায় মোছাঃ খাদিজা বেগমকে আকরাম হোসেনের কাছে ফেরত দেয়। স্ত্রীকে নিয়ে ঘর সংসার করাকালে আকরাম হোসেন জীবিকা নির্বাহের জন্য রিকশা নিয়ে বাইরে অবস্থান করায় চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারী বেলা সাড়ে ১১ টায় আকরাম হোসেনের স্ত্রী খাদিজা বেগম ঘরে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা, ২ ভরি ওজনের দু’টি চেইন,তিনটি আংটি,চার জোড়া কানের দুল যার আনুমানিক মূল্য ১লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মূল্যবান কাপড়,চোপড়সহ আকরাম হোসেনের শিশু মেয়ে সাদিয়া আক্তার আয়েশাকে নিয়ে সুলতান হোসেনের প্ররোচনায় চলে যায়। ঘটনার দিন আকরাম হোসেন বাড়িতে এসে স্ত্রী ও শিশু মেয়েকে না পেয়ে স্ত্রী খাদিজা বেগমের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পান। আকরাম হোসেন আশংকা প্রকাশ ও নিশ্চিত হন সুলতানের প্ররোচনায় তার স্ত্রী খাদিজা বেগম নগদ টাকা,স্বর্ণালংকর ও শিশু মেয়েকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন। এ ব্যাপারে আকরাম হোসেন খাদ্য অধিদপ্তর,খাদ্য ভবনের মহাপরিচালকের বরাবর সুলতান হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগ পাঠিয়েছেন। এদিকে যশোর খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরী (দারোয়ান) সুলতান হোসেনের ব্যাপারে যশোর সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামালের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী সুলতান হোসেন দীর্ঘদিন যাবত কোন অনুমতি বা আবেদন ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন। যে ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে কোন নির্দেশ না আশায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা যাচ্ছেনা।
Leave a Reply