মঙ্গলবার, ২৮ Jun ২০২২, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামের জামতলায় প্রকাশ্যে ইরিয়ান নামে এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় সোমবার গভীর রাতে মামলা হয়েছে। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন, যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর আর্দশ গ্রাম ১নং পাড়ার মৃত খুকা গাজীর ছেলে নিহত ইরিয়ানের পিতা খোরশেদ আলম। আসামীরা হচ্ছে, মৃত ওহেদ আলীর ছেলে শরিফ, একই এলাকার মকবুলের ছেলে গোলাপ, সাহেব আলীর ছেলে সাগর,মৃত ছদু মিয়ার ছেলে আব্দুস সালাম মিঠু, ইফাজ্জেল হোসেন কুটি গাজীর ছেলে জাকারিয়া ও আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর ভান্ডারীর ছেলে নাহিদ, বিশে গাজীর ছেলে লাবু, কিনুর ছেলে জহুরুল,আকবর হুজুরের ছেলে আতিকুর,কামারুলের ছেলে শিহাব,শরিফের ছেলে আলামিন, আকবরের ছেলে আলামিন, ভেকুটিয়া গ্রামের শহিদুলের ছেলে মনিরুল ও একই গ্রামের রওশনের ছেলে তৌহিদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকে।
বাদি তার মামলায় বলেছেন, আসামীরা অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। আসামীদের এরুপ অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বাদির ছোট ছেলে ইরিয়ান প্রতিবাদ করায় আসামীদের সাথে তার পূর্ব শত্রুতা সৃষ্টি হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা বাদির দুই ছেলে নচুয়া গাজী ও ইরিয়ানকে খুন জখমের হুমকী প্রদান করলে তারা দুই ভয়ে প্রাণ ভয়ে তাদের বোন পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি গ্রামের করিমের স্ত্রী শাহনাজ ওরফে শাহিনুরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গত ২১ মে আসামীরা ৭টি মোটর সাইকেল যোগে খবর পেয়ে পুলেরহাট কৃষ্ণবাটি গ্রামের করিমের বাড়িতে সকাল ১০ টায় ঢুকে বাদির মেয়ে শাহনাজ ওরফে শাহিনুরের বাড়িতে ঢুৃকে শরিফ ও গোলাম শহিনুরের মাথায় পিস্তল ঠেকায়। অন্যান্য আসামীরা শাহিনুরের বাড়ির খাটেন নীচে পালানো অবস্থায় থাকা ইরিয়ানকে টেনে হেচড়ে বাড়ির উঠানে নিয়ে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আসামীরা ইরিয়ানকে মোটর সাইকেলে তুলে সুজল পুর জামতলা মোড়ে বেলা ১১ টায় পৌছে সেখানে ফেলে বেধড়ক মারপিট করে জামতলার নীচে প্রায় ১ঘন্টা অবস্থান নিয়ে চলে যায়। ছেলের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ইরিয়ানকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বিকাল ৪ টায়। রাত ১১ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইরিয়ান মারা যায়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইরিয়ানের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে লাশ নিয়ে যশোরে এসে দাফন সম্পন্ন করে কোতয়ালি মডেল থানায় বাদি মামলা দেন।
Leave a Reply