বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৪৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোর স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালত ফরিদ হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থ দন্ডের আদেশ দিয়েছেন। নিহত ফরিদ হোসেন শার্শা উপজেলার রাড়িপুকুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।দন্ডিতরা হলেন, রাড়িপুকুর গ্রামের রমজান আলী গাজীর ছেলে সিদ্দিক হোসেন, একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মন্টু, ফুলশাহের ছেলে ওমর আলী, ইয়াকুব আলীর ছেলে আবুল হোসেন, ফকির আলীর ছেলে আব্দুসসামাদ।স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক শেখ ফারুক হোসেন বুধবার এ পাঁচ আসামির সাজা দিয়ে কারাগারেপাঠিয়েছেন
১৯৯৭ সালের ৯ এপ্রিল আসামিদের হাতে খুন হয় ফরিদ উদ্দিন। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ফরিদের বাবা মহব্বত আলীর সাথে গোলোযোগের জেরে খুন হয় ফরিদ। মহব্বতের জামাই ঝিকরগাছা উপজেলার বাধখানা গ্রামের মোকলেস শার্শা থানায় ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করেন, ২/৩ বছর আগে তার শ্বশুর মহব্বত আলীর ৫০০০ টাকায় একটি জমি আসামি আব্দুস সাত্তারের কাছে বন্ধক রাখে। এ টাকার ৪৫০০ টাকা পরিশোধ করে বাকি ৫০০ টাকা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করবে শর্তে ওই জমিতে হালচাষ করার জন্য আসে। টাকা না দিয়ে হাল চাষ করায় এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে সাত্তার। এরপর ছাত্তারসহ অন্য আসামিরা এসে মহম্মত আলীর ওপর উপর রামদা, রড, বাঁশসহ আতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাবাকে উদ্ধার করতে ফরিদ আসলে তার মাথায় সিদ্দিক প্রথমে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। এতে মাথার চাড়া ভেঙে বাঁশ ভিতরে ঢুকে যায়। মন্টুও ফের আঘাত করে বাঁশ দিয়ে। একপর্যায় রামদার গুরুতর আঘাতে ফরিদ গুরুতর জখম হলে প্রথমে তাকে যশোরের দিপা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১০ টায় ফরিদের মৃত্যু হয়।
এ মামলায় নয়জনকেই অভিযুক্ত করে ১৯৯৭ সালের ২৫ এপ্রিল শার্শা থানার এস আই কাজী আয়ুবুর রহমান আদালতে চার্জশিট দেন। এর মধ্যে আব্দুস সাত্তারের মৃত্যু হয়। মামলা চলাকালে ১৭ স্বাক্ষীর স্বাক্ষগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত সিদ্দিক হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মন্টু, ওমর আলী, আবুল হোসেন, সামাদকে ১ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ২০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। একই সাথে এ মামলায় পৃথক ধারায় প্রত্যেকের ৩ মাসের বিনামশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন।
এছাড়া এ মামলা থেকে ওই এলাকার সোয়েল উদ্দিনের ছেলে রবিউল হোসেন, সিদ্দিকের স্ত্রী রাশিদা বেগম, আবুল হোসেনের স্ত্রী জহুরা খাতুনকে খালাশ প্রদান করেন।
রাষ্ট পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এস এম বদরুজ্জামান পলাশ।
Leave a Reply