বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
‘স্টাফ রিপোর্টার: যশোর-৩ আসনের সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন ‘মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত, আল-বদর, আল-শামস আর তাদের প্রেতাত্মারা কখনোই বাংলাদেশ স্বাধীন হোক চায়নি, তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের নির্মমভাবে হত্যা করে। তারা এই জঘন্যতম হত্যাকান্ডে মাধ্যমে বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল।’তিনি আরও বলেন আগস্ট মাস এলেই দেশে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়। শনিবার বিকালে যশোর শহরের চিত্রা মোড়ে জেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শোক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ যুবলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন,‘সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন, যেন ষড়যন্ত্রকারীদের কূটকৌশল আর কখনোই সফল না হয়; আর যেন কোনও ১৫ আগস্ট কিংবা ২১ আগস্টের জন্ম না হয়।’
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘৫০ ও ৬০-এর দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপসহীন নেতা; যিনি বাঙালিকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আরাম-আয়েশ-বিলাসিতা ত্যাগ করে তিনি জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটিয়েছেন। বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন তিনি; যার জন্ম না হলে বাংলাদেশই হতো না।’
যশোর সদর আসনের এমপি বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে তিনি (বঙ্গবন্ধু) যখন পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেছিলেন; বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছিলেন, ঠিক সেই সময় ঘাতকের বুলেট তাকে নিস্তব্ধ করে দেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।’
এমপি বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের অওতায় এনেছেন। ইতোমধ্যে ১১ জনের মধ্যে ৫ জনের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। বাকি ছয়জন—যারা নিজেদের চেহারা, নাম-পরিচয় পরিবর্তন করে বিদেশে পালিয়ে রয়েছে, তাদের দেশে ফেরত এনে আদালতের রায় কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply