জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
রুগী দেখার চেম্বার ভাংচুর এবং চিকিৎসা সরঞ্জামাদি লুটের অভিযোগে ছোট ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীসহ ৪জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা এলাকার ডা. খন্দকার সালাহ উদ্দিন (৫১)। তিনি ওই এলাকার মৃত খন্দকার আব্দুল জলিলের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলো, সালাহউদ্দিনের ভাই সাঈদ আহমেদ ইউনুচ (৪৯) ও তার স্ত্রী হিরা বেগম (৪০), আবরপুর খোয়ারাস্তা মসজিদের পাশের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে ফিরোজ ওরফে পিরু (৪২) এবং জয়নাল মিয়ার ছেলে খোকন।
অভিযোগপত্রে সালাহউদ্দিন উল্লেখ করেছেন, গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে তিনি দেখতে পান আসামিরা খোলাডাঙ্গায় তাদের দোতলা বাড়ির নিচতলার একটি দোকান ঘর যা তার চেম্বার হিসাবে ব্যবহার হয়। সেটি ভাংগার চেষ্টা করছে তার ছোট ভাই। তিনি ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের মারতে উদ্যোত হয়। তারা দৌড়ে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন এবং পুলিশে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন তার চেম্বারের তালা ভাঙ্গা। ভেতরে রাখা মালামালের ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে। চেম্বারে রাখা একটি আল্ট্রাসনো মেশিন, একটি মাইক্রোস্কপ মেশিন, একটি ইসিজি মেশিন এবং বেশে কিচু সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি চুরি করে নিয়ে গেছে। যার মূল্য ১৫ লাখ টাকা। আসামিরা তার চেম্বার দখলের জন্য বিভিন্ন সময় পায়তারা করে আসছিল। উল্লেখিত ঘটনার দিন তারা চেম্বার ভেঙ্গে ১৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানায় এসআই জয়বালা জানিয়েছেন, একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম তদন্ত করে আসছি।পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে ডাঃ খন্দকার সালাহ উদ্দিন জানান, তার পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি আশংকা করছেন যেকেন সময় তাকেও তার স্ত্রী সন্তানদের তার ভাই বহিরাগতদের দিয়ে বড় ধরনের হামলা করে জীবনহানির মত ঘটনা ঘটাতে পারেন।তিনি জরুরীভাবে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।