মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
যশোরে হারুন-অর-রশিদ (৪৫) নামে এক কসাইয়ের হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরতলীর ধর্মতলা এলাকায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে সন্ত্রাসীরা এমন অভিযোগ করছে নিহতের বোন আমেনা বেগম। এরপর তাকে কে বা কারা চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা অথবা খুলনা রেফাড করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন খুলনা গাজী মেডিকেল হাসপাতলে আই সি ইউ তে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হারুন-অর-রশিদ যশোর শহরের আরবপুর সরদার বাড়ির ভাটিয়া। ও বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ থানার দেবরাজ গ্রামের জব্বার শেখ এর ছেলে।
নিহতের বোন আমেনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই কে শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে যশোর এলাকার তার মাংসের দোকান থেকে,, চুয়াডাঙ্গা বাস ষ্টান্ড, হতে,,, ঘোপ সেন্টার রোডের,, মউরি বাবু এবং পাগলাদাহ বিহারি কলোনির,,, জহুর আলির ছেলে,, ফেরদৌস কসাই,, ও টালি খোলার,, শফির ছেলে বাবু কসাই,, ওরফে বাবু,,এই দিন তাকে দোকান থেকে গরু কিনতে যাবে বলে বিকেল ৪ টা বাজে তাকে ডেকে নিয়ে যায়,, তার পর রাত ৭,,৩০ টে খবর আসে সে মেডিকেল অবস্থা আশঙ্কা জনক তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক বলে এখানে হবে না, অবস্থা আশঙ্কাজনক ঢাকা বা খুলনা নিয়ে যান,, তখন আমরা তাকে, ,তার স্ত্রী বোন ও ছেলে খুলনা সার্জিক্যাল গাজি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়, আইসিইউতে।
তার পর শনিবার সকাল ১১,,৫৫ মিনিট কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে,, তার সাথে ১ লক্ষ্য ৬৫ হাজার টাকা ও হাতে দুইটি শোনার আংটি এবং গলায় শোনার চেইন ছিলো আর একটি এপাচি মটরসাইকেল ছিলো এগুলো কিছু পাওয়া যায়নি তার পর তার ছোট বোন আমেনা বেগম ও তার বড় ছেলে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনতাজ উদ্দিন কে জানানো হয়,, তখন তিনি এস আই হরশিত মরদেহ সঙ্গে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে ময়না তদন্ত করা হয়।
পরে মরদেহ নিয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় গিয়ে ,, লাশ দেখিয়ে মরদেহ তার বাড়িতে, বাগেরহাট নিয়ে যাওয়া হয়। তার ছোট বোন আমেনা বেগম মৃত্যুর কি কারণ সেটা জানতে চায় তিনি অভিযোগ করেন এটা পরিকল্পিত হত্যা।
খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) হরষিত সাংবাদিকদের জানান, আসলে এটা অ্যাক্সিডেন্ট না হত্যা পুরোপুরি কিছু বোঝা যাচ্ছে না শরীরের যতগুলো আঘাত আছে ততগুলো সুরাতহালে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তার মাথার পিছনে ২ ইঞ্চি ১ ইঞ্চি একটা ক্ষত আছে যেটা দেখে সন্দেহ হচ্ছে এটা ধারালো অস্ত্রের আঘাত কিনা? আমরা জিডি মূলে ময়নাতদন্ত করেছি,পরিবার চাইলে সুরাতহাল রিপোর্ট নিয়ে যশোরে মামলা করতে পারেন।
Leave a Reply