জয় বাংলা নিউজ ডেস্ক:

৫৯ দিন পর কলকাতায় বৃষ্টি। যদিও বৃষ্টির পরিমাণ .২ মিলিমিটার। রবিবারের পর বৃষ্টির সম্ভাবনা আরও বাড়বে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলায়। সোম ও মঙ্গলবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া, হতে পারে কালবৈশাখী।

আজ, শনিবার কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ১ ডিগ্রি বেশি। গতকাল, শুক্রবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ স্বাভাবিকের থেকে যা এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৪২ থেকে ৮৫ শতাংশ।

দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় তাপপ্রবাহ আজও চলবে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। পূবালি হাওয়ায় জলীয়বাষ্প ঢুকছে। এই জলীয়বাষ্প বিহার ও ঝাড়খন্ডের ছোটনাগপুর মালভূমি তে গিয়ে বজ্রগর্ভ মেঘ হয়ে ফিরে আসবে। সেই সেল থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজও বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং পশ্চিমের দু’একটি জেলায়। আগামিকাল, রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও জেলায় বাড়বে।

সোম ও মঙ্গলবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

আগামী বুধবার ৪ মে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরদিন ৫ মে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। এটি ক্রমশ দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর এর দিকে এগোবে। আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কিনা এবং কোন দিকে অভিমুখ থাকে সে দিকেই নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।