বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
ওমর ফারুক ,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় বিভিন্ন রাস্তা পাকাকরন হলেও নেই কোন রাস্তার চিহ্ন। অধিকাংশ রাস্তাগুলি খানাখন্দে ভরা চরম ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ।
মান্দা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র প্রসাদপুর বাজার থেকে জোত বাজার পর্যন্ত,৭ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় ১ কিলো রাস্তা একটু ভালো আছে। তাছাড়া সম্পূর্ণ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। জোতবাজার থেকে জোঁকাহাট হয়ে মিঠাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তা সম্পন্ন চলাচলের অযোগ্য।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত ভ্যান,অটো চার্জার ও পিকআপ যাতায়াত করে। তাছাড়া চলতে-ফিরতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়। এই রাস্তার কারণে জনজীবনে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর যদি একটু বৃষ্টি হয় তাহলে খানাখন্দ ভরে যায় পানিতে।
জোঁকাহাটের মোঃ বশির মিয়া বলেন, এই রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দীর্ঘ প্রায় ২ বছর অতিক্রম করলেও এ রাস্তার কোন সংস্কার হয় না। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের ছোট বড় মাঝারি গাড়ি চলাফেরা করে। সাধারণ মানুষ চলাফেরা করে অতি কষ্ট । স্থানীয় নেতাকর্মী ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে বলে যে, দ্রুত রাস্তাটির সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে আজ অবধি এই রাস্তার কোন সংস্কার দেখতে পাচ্ছিনা।
স্থানীয় এলাকাবাসী মনে করেন রাস্তার পাশ দিয়ে আত্রাই নদী প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে রাস্তার ধারে পানির চাপ আসে। তাছাড়া এক শ্রেণীর অসাধু বালু মহল ব্যবসায়ীরা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে। সেইসাথে রাস্তার ধারে এবং মাঝখান পর্যন্ত বালু জমা রাখে। এরই ফলে বিভিন্ন ট্রাক্টর এসে বালু আনা নেওয়ার মাধ্যমে রাস্তার অনেক ক্ষতি হয়।
অটোচালক মোঃ সবুজ আলী বলেন, আমরা গাড়িতে যাত্রীদের ভাড়া মেরে জীবিকা নির্বাহ করি। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে আমাদের চলতে হয়। প্রায় দিনই আমাদের কষ্ট করে ও আশঙ্কার মধ্য দিয়ে পথ পাড়ি দিতে হয়। মাঝেমধ্যে অনেকেরই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। আমরা এখান থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। প্রশাসন,স্থানীয় নেতা-কর্মী ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন জানাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার হলে চলাচলের উপযোগী হবে ।
Leave a Reply