রবিবার, ২২ মে ২০২২, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
মাটির পুতুল
অন্নপূর্ণা দাস
মাটির পুতুল তৈরী করছে রূপাঞ্জন,
অবাক হয়ে দেখছে রূপকথা,
আর মনে মনে ভাবে কিভাবে পারে,
আহ্,আমি যদি পারতাম তাহলে
মনের মতো রং দিয়ে পুতুল সাজাতাম,
আজকাল ফেসবুকে অনেক ছবি দেখে,
লকডাউনে অনেক পুতুল ঘরে বসে বানিয়েছে,
এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় একটু ব্যাস্ত হয়েছে,
আগের মত আর ছবি দেখে না,
ছোটবেলায় বন্ধুদের সাথে পুতুুলের বিয়ে দিয়েছিল,
অনেক বন্ধু বান্ধব মিলে মজা করেছিল,
তার মেম পুতুলের সাথে মাটির বর পুতুলের বিয়ে হয়,
সবাই বলে ঠিক মানায়নি,
কোথায় মেম কোথায় মাটির পুতুল,
কিন্তু তোবুও রূপকথার খুব ভালো লেগেছিল,
স্কুল ছুটির পর তার বাড়ির কাজের দিদির মেয়ের সঙ্গে খেলতো ,
তখন দেখতো তার বন্ধু নিজে নিজে কতো মাটির থালা ,
উনুন ,কড়াই এবং পুতুল তৈরী করে রাখতো ,
আর তা দিয়ে সে মনের মতো করে নিজে নিজে খেলতো,
দূর থেকে তাদের খেলা সে দেখতো,
খুব ভালো লাগতো একদিন বাড়িতে না বলে তার বাড়ি যায়,
দেখে ছোট মেয়েটি কি সুন্দর কাঁকড়া ভাজছে,
তাকে বলেছিলো খাবে দিদি তুমি,
তার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু মনে ভয় ছিল
যদি বাড়িতে জানতে পারে তবে বকা খাবে, তবুও সে চুপ করে খেয়েছিল,
কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল বিখ্যাত সে বইতে পড়েছিল
কিন্তু কোন দিন দেখেনি,
তবে পুরোন বাংলা সিনেমা আর এখন ফেসবুক তার ছবি দেখেছে,
একটা জিনিস সে বুঝেছে মাটির সাথে যেন মাটির টান তৈরি হয়,
যা অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না,
স্কুল থেকে মেয়েকে নিয়ে ফেরর পথে মাটির কলসি দিকে চোখ চলে যায়,
ছোটবেলায় মামার বাড়িতে মাটির কলসিতে জল খেয়েছিল,
তার স্বাদ আজও মনে আছে,
এখন ফ্রিজে, ফিল্টারে সেই স্বাদ কোথায়,
ঠান্ডা জল বেশি খেলে ঠান্ডা লেগে যায়,
মেয়ে যদি বায়না করে তাই সেও ফ্রিজের জল খায় না,
তবে আজও যখন মাটির তৈরি গয়না পড়ে তার মধ্যে থাকে
একটা মাটির আলাদা গন্ধ বের হয়,যা খুব ভালো লাগে,
মাটির তৈরি বাড়ি তাতে ঘরের ছাউনি সত্যিই খুব সুন্দর দেখতে লাগতো,
তার সেখানে থাকতে খুব ইচ্ছে হতো কিন্তু কাউকে বলতে পারতো না,
বড় স্কুলে পড়ার সময় তার বান্ধবীদের বাড়িতে যেত খাতা আনার নাম করে,
সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতো,
আর দেখতো কি ভাবে তারা এতো ছোট ঘরে থাকত,
দেখতো তাদের মধ্যে ছিল একটি
মাটির মত খাঁটি ভালোবাসা যার মূল্য সত্যই অমূল্য||
Leave a Reply