সোমবার, ২৩ মে ২০২২, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
যশোরে তালাক হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে যৌতুক নিরোধ আইনে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে তহমিনা খাতুনের (৩৪) বিরুদ্ধে।
ক্ষমতা দেখিয়ে দিলেন, দাপুটে কন্যা স্কুল শিক্ষিকা তহমিনা খাতুন।তার দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে তার স্বামী শহরের মুজিব সড়ক বাইলেন ষষ্টিতলা পাড়ার শাহান ম্যানসনের ইয়াসিন আরাফাত সুমন (৪০) ও তার বৃদ্ধ পিতা রবিউল ইসলাম (৭০)কে।
মামলার এজাহারে তহমিনা খাতুন উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের ১৫ এপ্রিল সুমনের সাথে তার বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনের তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। ঘর সংসার করাকালীন সুমন বিভিন্ন সময় ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এরজন্য নানাভাবে নির্যাতন চালানো হতো। মেয়ের সুখের কথা ভেবে তার পিতা দেড় লাখ টাকা দেন। এরপর ২০২০ সালের ১০ মে আরো ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়াও আরও ৪ ভরি ওজনের সোনার আলংকার দেয়া হয়। কিন্তু কিছু দিন চুপ থাকার পর আবারও নির্যাতন চালাতে থাকে। গত ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফের নির্যাতন চালায়। তাকে মারপিটে ও শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং তার পরিবারের লোকজনকে সংবাদ দিলে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
এদিকে সুমনের বাড়ির লোকজন জানিয়েছে, তহমিনার সাথে তার তালাক হয়ে যায় আরো তিনদিন আগে। কিন্তু তার পক্ষীয় কিছু লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর করে এবং সুমনকে মারপিট করে। পরে পুলিশে সংবাদ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। তাদের ওপর বল প্রয়োগ করা হয়েছে। তালাক প্রাপ্তকে জোর করে বাড়িতে উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা মামলা হিসাবে নেয়নি প্রভাবশালী এক নেতার কারনে। সে কারনে স্কুল শিক্ষিকা তহমিনা খাতুন ক্ষমতার দাপটটা তার স্বামীকে দেখিয়ে দিয়ে উল্টো তার স্বামীর বিরুদ্ধে।মামলা করলেন।
Leave a Reply