রবিবার, ২২ মে ২০২২, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
যশোরে স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা করে হয়রানীর অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। স্ত্রী শারমিন আক্তার যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠির বাগডাঙ্গা গ্রামের হযরত আলী গাজীর মেয়ে। মঙ্গলবার এসব অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার বারীনগর মানিকদিহি গ্রামের বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবা মতিয়ার রহমান। মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুন্যাল -১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগ আমলে নিয়ে সরাসরি আসামির প্রতি এ আদেশ দেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ১৩ মার্চ তার ছেলে মামুনের সাথে শারমিনের বিয়ে হয়। নানা কারণে একই বছরের ২ জুলাই মামুন নিজে শারমিনকে তালাক দেয়। এরপর থেকে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু করে শারমিন। কখনো থানায় আবার কখনো আদালতে একেরপর এক ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করতে থাকে শারমিন। ৫ম বারের মত সর্বশেষ ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মামুনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে শারমিন একটি মামলা করেন। অভিযোগ করা হয়, শারমিনকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে মামুন বেনাপোলের একটি অপরিচিতের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে ও ৫০ হাজার টাকায় বিক্রির পরিকল্পনা করে। পরে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যশোরে চলে আসে শারমিন। এ অভিযোগে মামলার গ্রহণের পর আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মামুন শারমিনকে তালাক দেয়ার পর থেকেই মুলত শারমিন ষড়যন্ত্রমুলক মামলা করে। শারমিনকে পাচার সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রমান পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় মামুন ছিলো ঢাকাতে। যা মোবাইল ট্রাকিং করে প্রমান পেয়েছেন পিবিআই। এ ছাড়া বেনাপোলে যে স্থানে আটকে রাখার কথা মামলায় বলা হয়েছে তদন্তে তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া যাদের সহযোগিতায় সেখানথেকে শারমিন পালিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । বাস্তবে এমন ঘটনার প্রমান মেলেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে পিবিআই। আদালত পিবিআই প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর শারমিনের অভিযোগ খারিজ করে দেয়। এ সময় শারমিন পুনঃ তদন্তের আবেদন জানালে আদালত সে আবেদনও খারিজ করে দেয়। একই সাথে আদালতে প্রতিয়মান হয় মুলত মামুনকে চাপে ফেলতে একের পর এক মামলা করেছে শারমিন।
সর্বশেষ মঙ্গলবার মামুনের পিতা মতিয়ার রহমান মানব পাচার অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন আইনের ১৫(১) ও (২) ধারায় এ মামলা করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সরাসরি আটকাদেশ দেন।
Leave a Reply