বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ প্রতিবেদক:
যশোর বেনাপোলের কাগমারি গ্রামের মোগর আলী হত্যা মামলায় আটক ভাতিজা হারুন আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে উভয়পক্ষের হামলায় মোগর আলী গুরুতর আহত হয়ে মারা যায়। এ ঘটনার সাথে তার পিতা ও ছেলে জড়িত বলে জানিয়েছে হারুন। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। হারুন কাগমারি গ্রামের আরব আলীর ছেলে।
গত ১৬ এপ্রিল ভাতিজার ধারালো অস্ত্রের কোপে চাচা মোগর আলী নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হোসেন আলী বাদী হয়ে সোমবার ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ১০/১২ জনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিত কুমার দাস হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হারুন ও সামছুর রহমানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন।
জবানবন্দিতে হারুন জানিয়েছেন, মোগর আলী তার আপন চাচা। পৈত্রিক জমি নিয়ে তার চাচার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মাঝে মধ্যে চাচার পারের সাথে জমি নিয়ে ঝগড়া হয়। গত ১৬ এপ্রিল ইফতারের পর চাচা ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে জমি নিয়ে ঝগড়া হয়। এরমধ্যে চাচা মোগর আলী ও তার বাড়ির লোকজন তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় উভয় পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় চাচা মোগর আলী গুরুতর আহত হন। পরে চিৎিসাধীন অবস্থায় চাচা মারা যায়। এ ঘটনার সাথে তার পিতা ও ছেলে জড়িত বলে জানিয়েছেন তিনি।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৬ এপ্রিল ইফতারের পর মোগর আলী বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে¡ কাগমারি গ্রামের রেললাইনের পাশে আবুল হোসেনের দোকানের সামনে গতিরোধ করে কুপিয়ে হত্যা করে মোগর আলীকে। এব্যপারে নিহের ছেলে হোসেন আলী বাদী হয়ে ১০ জনের নামউল্লেসহ অপরিচত ১০/১২ জনকে আসামি করে পোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন। আসামিরা হলো, হারুন, আরব আলী, সোহেল, জুয়েল, সাদেক, জাহাঙ্গীর, সামছুর রহমান, আব্বস, জুলু ও জলিল মেকার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হত্যা সাথে জড়িত থাকায় হারুন ও সামছুর রহমানকে আটক করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেন। হারুন হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছেন।
Leave a Reply