মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
জয় নিউজ প্রতিবেদক:
কাজী অফিসের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে প্রতারণা ও বাল্য বিয়ে দেয়াসহ প্রতারণা চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। র্যাব ও ভ্যাম্যমান আদালতের পৃথক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।পরে তাদের কারাদন্ড ও অর্থদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পেশকার নজরুল ইসলাম জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোম্য চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রথমে পালবাড়িতে কোর্ট ম্যারেজ ও কাজী অফিস’ নামে একটি কাজী অফিসে অভিযান চালান। এ সময় সেখান থেকে ফিরোজ আহমেদ নামে একজন ভুয়া কাজীকে আটক করা হয়। তার অফিস থেকে সকল কাগজপত্র জব্দ করা হয়। ওই অফিসে বাল্য বিয়ে দেয়াসহ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হতো।তাছাড়া সাইনবোর্ডে কোর্ট ম্যারেজ লেখার কেনো এখতিয়ার নেই। এসব অপরাধে আটক ফিরোজ আহমেদকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডও ৫শ’ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলম পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার মৃত সুলতান মুন্সীর ছেলে। সূত্র জানায়,পরে ফিরোজ আলমকে সাথে নিয়ে তার স্বীকারোক্তিতে পুরাতন কসবা চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একই চক্রের আরেকটি অফিসে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে নাজমুল হাসান নামে আরেকজন ভুয়া কাজীকে আটক করা হয়। পরে তাকেও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫শ’ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হাসান পালবাড়ি এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে। অভিযানকালে র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ নাজিউর রহমান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব অংশ নেন।
Leave a Reply