বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ১০:২৯ অপরাহ্ন
শহিদ জয়:
পিবিআই প্রধান জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম, অ্যাডিশনাল আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নিদের্শনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্ত্বে এসআই (নিঃ)/ ডিএম নূর জামাল সঙ্গীয় এসআই(নিঃ)/ হাশিস দাশ ও ফোর্স সহ যশোর জেলার আভিযানিক দল কর্তৃক পুলিশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অদ্য ১০/০৪/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকায় অভিযুক্ত গ্রেফতারকৃত আসামী সরোয়ার হোসেন (৩১), পিতা-মোঃ হারেজ আলী, মাতা-মোসাঃ মর্জিনা বেগম, সাং-হামিদপুর, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর এর নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকালে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধার করা হয়।
গত ইং- ০৯ মার্চ যশোর জেলার কোতয়ালী থানাধীন হামিদপুর গ্রামস্থ আনোয়ার হোসেনের ছেলে শাহারিয়ার আজম ওরফে আকাশের নামে কোতয়ালী থানার মামলা নং- ৩৬, তারিখ-০৯/০২/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- ৪২০/৪০৬ পেনাল কোড তৎসহ ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩(২), ২৪(২), ২৫(২) একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। ওই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পিবিআই, যশোর কার্যালয়ের উপর ন্যাস্ত হলে পিবিআই অফিসার গত ইং-০৯মার্চ আসামী শাহরিয়ার আজম ওরফে আকাশকে গ্রেফতার করে। তখন আনোয়ার হোসেন এর এলাকার সরোয়ার হোসেন, পিতা- মোঃ হারেজ আলী, মাতা- মোসাঃ মর্জিনা বেগম, সাং- হামিদপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোর তার বাড়িতে আসে এবং তাকে বলে যে, পিবিআই অফিসে তার ভালো যোগাযোগ আছে সে আকাশকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে পারবে। এজন্য এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা দিলে তার ছেলেকে পিবিআই যশোর এর কাছ থেকে ছাড়িয়ে দিতে পারবে। টাকা না দিলে পিবিআই অফিস তার ছেলেকে রিমান্ডে এনে মারপিট করবে এবং একাধিক মামলায় চালান দিবে বলে ভয় ভীতি দেখায়। তখন মোঃ আনোয়ার হোসেন তার কথায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ছেলেকে পিবিআই যশোর এর কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গত ইং- ওইদিন অনুমান রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোতয়ালী থানাধীন হামিদপুর গ্রামস্থ তার নিজ বসত বাড়ীতে সরোয়ার হোসেনকে নগদ এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু পিবিআই অফিস আকাশকে আদালতে সোপর্দ করলে আনোয়ার হোসেন বুঝতে পারে সে প্রতারিত হয়েছে এবং নিজে নিজে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিছু টাকা উদ্ধার করতে না পেরে গত ১০ মার্চ পিবিআই যশোর কার্যালয়ে হাজির হয়ে আনোয়র হোসেন ওই বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখতভাবে পুলিশ সুপার পিবিআই যশোর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের বিষয়টি ব্যপক তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপার, পিবিআই, যশোর জেলা মহোদয়ের নির্দেশক্রমে পিবিআই, যশোর জেলার সাধারণ ডাইরী নং-১২৪, তারিখ-১০/০৪/২০২২ ইং মূলে এসআই (নিঃ) ডিএম নুর জামাল হোসেন এর উপর ন্যস্ত করা হয়। তখন সঙ্গীয় এসআই (নিঃ) ডিএম নুর জামাল হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ইং-১০/০৪/২০২২ তারিখ বিকালে সরোয়ার হোসেনকে হামিদপুর তার নিজ বসতবাড়িতে পেয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদকালে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। অতঃপর উক্ত আসামী ধর্তব্য অপরাধের সাথে জড়িত থাকার যুক্তি সঙ্গত সন্দেহে তাকে ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪(১) ধারা মোতাবেক তার নিজ বসতবাড়ী হতে গ্রেফতার করা হয়। আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক প্রতারণার মাধ্যমে মোঃ আনোয়ার হোসেনের নিকট থেকে গ্রহণকৃত এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা সংযুক্ত জব্দতালিকা মোতাবেক সাক্ষীদের সম্মুখে উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তকালে আরও জানা যায় উক্ত আসামী বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত সোর্স হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের ছাড়ানোর কথা বলে প্রতারণা ও বিভিন্ন ভয় ভীতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করে আসছে। উক্ত আসামী পিবিআই এর নাম ভাঙ্গিয়ে আসামীকে ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা ও ভয় ভীতি দেখিয়ে পিবিআই অফিসারকে টাকা দেওয়ার নাম করে আসামীর পরিবারের নিকট থেকে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা গ্রহণ পূর্বক আত্মসাৎ করে পিবিআই এর সুনাম নষ্ট করেছে।
ওই ঘটনা সংক্রান্তে এসআই (নিঃ) ডিএম নুর জামাল হোসেন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৪৭, তারিখ-১০/০৪/২০২২ ইং, ধারা- ৩৮৪/৩৮৫/৪০৬/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্দ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্তভার এসআই (নিঃ) জিয়াউর রহমান এর উপর অর্পণ করা হয়। অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেনকে অদ্য ১১-০৪-২০২২ খ্রিঃ জনাব মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত কোতয়ালী, যশোর আদালতে সোপর্দ করা হলে অভিযুক্ত ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাঃ এসআই(নিঃ) জিয়াউর রহমান পিবিআই, যশোর
তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই (যশোর) ইউনিট ইনচার্জ ঃ রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা, পুলিশ সুপার, পিবিআই যশোর।
Leave a Reply