সোমবার, ২৩ মে ২০২২, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ ডেস্ক:
কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট (এএমসি) অনুযায়ী বিশ্বের যেসব দেশ এখনো টিকা দেয়ার লক্ষ্য থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে, তাদের সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত কিছু দেশ এখনো টিকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে অনেক দূরে রয়ে গেছে। এ দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশেষ মনোযোগ ও সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।
জার্মানি এবং ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভি আয়োজিত ‘২০২২ গ্যাভি কোভ্যাক্স এএমসি সামিট: ব্রেক কোভিড নাও’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে আগে ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি। গ্যাভি কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট সমর্থিত নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য দাতা তহবিলে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলারসহ কোভ্যাক্সের জন্য জরুরি আর্থিক সহায়তায় কমপক্ষে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউএস ডলার সংগ্রহে সহায়তা করার লক্ষ্যে নেতা স্তরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
ভিডিও বার্তায় সব দেশে টিকা প্রদানে সাহায্য করতে স্টেক হোল্ডারদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি উন্নয়ন অংশীদারদের কোভ্যাক্স এএমসিতে তাদের অবদান এবং টিকা বাড়ানোর জন্যও আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া বাংলাদেশ টিকার সমতা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত এবং গ্যাভি ও কোভ্যাক্সের সঙ্গে সর্বদা কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ মহামারী জনস্বাস্থ্যের জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকরভাবে সাড়া দিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাকে শক্তিশালী করেছে।
তিনি বলেন, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি এ উদ্দেশ্যে আমাদের একটি বিশ্বব্যাপী প্লাটফর্ম অফার করেছে। ভবিষ্যতের মহামারী মোকাবেলা করার জন্য আমাদের এ প্লাটফর্মটিকে প্রয়োজনীয় সংস্থান এবং দক্ষতার সঙ্গে সমর্থন করতে হবে।
শেখ হাসিনা স্মরণ করিয়ে বলেন, আমাদের একটি শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা না থাকলে মহামারীর প্রভাব বাংলাদেশে ধ্বংসাত্মক হতে পারত। তিনি বলেন, মহামারীতে আমরা সংক্রমণকে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি এবং এখন সংক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ তার লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশের বেশি জনসংখ্যাকে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছে। গ্যাভির সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব এ সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কোভ্যাক্স এএমসি প্রক্রিয়া থেকে অব্যাহত সমর্থনের জন্য উন্মুখ। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, টিকাকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
ভার্চুয়াল ইভেন্টের সহসভাপতি ছিলেন জার্মানির অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সোভেনজা শুলজে এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান জোসে ম্যানুয়েল বারোসো। উদ্বোধনী অধিবেশনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল এবং গ্যাভি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জোসে ম্যানুয়েল বারোসো বক্তব্য রাখেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. নাজলা বাউডেন, জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেনও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
Leave a Reply