বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২, ০৮:২১ অপরাহ্ন
জয় বাংলা নিউজ ডেস্ক:
ডারবানের কিংসমিড ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। যে কোনো সংস্করণে ডারবানের মাঠে ওটাই ছিল অতিথিদের প্রথম ম্যাচ। শুক্রবার পোর্ট এলিজাবেথের সেন্ট জর্জ পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হবে দু’দল। এই মাঠেও কখনো এর আগে খেলেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই সফরে টেস্ট সিরিজের দুটি ভেন্যুই সফরকারীদের জন্য প্রথম।
১৮৮৯ সালে এই মাঠে সর্বপ্রথম মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। যেটি ছিল টেস্ট ইতিহাসের ৩১তম টেস্ট ম্যাচ। সেই থেকে এ পর্যন্ত এ ভেন্যুতে খেলাও হয়েছে ৩১টি টেস্ট। যার মধ্যে মাত্র ৫টি টেস্ট ড্র হয়েছে, বাকি ২৬ ম্যাচেই জয়-পরাজয়ে ফল নির্ধারণ হয়েছে। রানের টার্গেটে ব্যাট করে ১৩টি ম্যাচ জিতেছে দলগুলো এবং সমান সংখ্যা ম্যাচ হারে।
ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের আগে ডারবানের মাঠে টেস্ট খেলা হয়েছে ২০১৯ সালে। পোর্ট এলিজাবেথে সর্বশেষ সাদা পোশাকের খেলা হয়েছে ২০২০ সালে। সেই ম্যাচে প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড।
এখানের উইকেটও অনেকটা ডারবানের মতো। প্রথম ইনিংসে ৩০০-৪০০ রান হলেও দ্বিতীয় ইনিংস থেকে তা নিচের দিকে নামতে থাকে। প্রথম ইনিংসের গড় ৩০৯, চতুর্থ ইনিংসের গড় ১৫৯! চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন হয়ে পড়ে ব্যাটারদের জন্য। ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো টেস্ট খেলা হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র একটি ড্র হয়েছে, বাকি সবগুলোয় কেউ না কেউ জয় কিংবা পরাজয় বরণ করেছে। এই মাঠে সর্বশষ দুই টেস্টে ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকার কাছে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দুঃস্মৃতি নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামবে ডিন এলগারের দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এর আগে তিনবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করলেও ১৩৩ বছরের পুরোনো এই স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পায়নি। প্রচেফস্ট্রুম, ব্লুমফন্টেইন, সেঞ্চুরিয়ান ও ইস্ট লন্ডনে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এবারই প্রথম তারা টেস্ট খেলবে ঐতিহাসিক ভেন্যুতে। বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়ার টেস্টখেলুড়ে সবগুলো দল- ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা এই মাঠে দুটি করে টেস্ট খেলেছে। পাকিস্তান ও শ্রীলংকা একটি করে টেস্ট জেতার রেকর্ড আছে, ভারত একটি টেস্ট ড্র করেছিল। বাকি টেস্টগুলোয় হারে তারা।
স্বাগতিকদের আতিথেয়তা নিতে আজ শেষ টেস্টের অনুশীলনে নামেন মুমিনুল হক ও লিটন দাসরা। ডারবানের মাঠে ছিল স্পিনারদের দাপট। বাংলাদেশের স্পিনার ছিলেন শুধু মেহেদী হাসান মিরাজ। সে অর্থে বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি। পোর্ট এলিজাবেথে শেষ দিকের ম্যাচগুলোয়ও ছিল স্পিনারদের দাপট।
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের টস, দল সাজানো, রিভিউ, উইকেটের আলোকে বোলার না নেয়ার মতো অনেক সিদ্ধান্তই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। তবে সেন্ট জর্জ পার্কে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে মাঠে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে ব্যাটার তামিম ইকবাল ও স্পিনার তাইজুল ইসলামের। প্রথম টেস্টে তামিম খেলতে পারেননি পেটে ব্যথা থাকায়। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক না থাকায় শেষ টেস্ট থেকে বাদ পড়তে পারেন সাদমান ইসলাম। প্রথম টেস্টে এক স্পিনার নিয়ে নামলেও দ্বিতীয় টেস্টে মিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধার সম্ভান আছে তাইজুলের। এক্ষেত্রে দুই পেসার এবাদাত হোসেন ও খালেদ আহমেদ তাদের সঙ্গী হবেন। এবার প্রথম টেস্টের ব্যর্থতার গ্লানি মুছে পোর্ট এলিজাবেথে বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস লিখতে পারে কি-না সেটাই দেখার বিষয়।
Leave a Reply