সোমবার, ২৩ মে ২০২২, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: জমা জমি সংক্রান্ত একটি মামলা আদালতে চলার পরও বিবাদীকে নাজেহাল করছে বাদী পক্ষের লোকজন। এমনকি পুলিশের কাছে মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে, মামলার বাদী তফজেল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। নিরুপায় হয়ে ৭০ বছরের বৃদ্ধ সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আতাউর রহমান যশোর পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন।
আবেদন করে তিনি বলেছেন, ২০১৩ সালের ১টি মামলা করেন একই এলাকার তফজেল বিশ্বাস। তার অভিযোগ ছিলো বাহাদুরপুরের ১০৬ মৌজার ৮৮ নং খতিয়ানের আর এস ৯৪০ দাগের ৫৭ শতক জমির মধ্যে ২৫শতক জমি নিয়ে। মামলার বাদী তপজেল বিশ্বাসের স্ত্রী নাজমা বেগম এর কাছে পাওয়ার অফ এটর্নী মুলে জমি বিক্রি করা হয়। মামলার বিবাদী আতাউর রহমান আরও জানান,উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলার বাদীদের সাথে মনোমালিন্যও কথা কাটাকাটি ও গোলযোগ হওয়ায় তফজেল বিশ্বাস গত ১৩সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার জি আর মামলা নং ৮৬৩/১৩। কিন্তু মামলাটি আদালতে চলাকালিন সময়ে আদালত তফজেল বিশ্বাসের কাছে অভিযোগের প্রমানপত্র উপস্থাপন করতে বলে তাতে তিনি ব্যর্থ হয়। একপর্যায় বিষয়টি স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মীমাংশা হয় ও একই সাথে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবেন শর্তে এফিডেবিট করে দেন। কিন্তু পরবর্তিতে সে মামলা তুলে না নিয়ে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন। বাহাদুরপুর গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে বাদি তফজেল বিশ্বাস এটি নিষ্পত্তি ও করে দেন আতাউর রহমানকে।
কিন্তু একই মামলায় পুনরায় তফজেল বিশ্বাস যশোর কোতোয়ালি থানায় সম্প্রতি আরেক দফা অভিযোগ দায়ের করেন । এই অভিযোগের ভিত্তিতে একই ঘটনায় যশোর সদরের তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এস আই মতিউর রহমান বৃদ্ধ আতাউর রহমানকে কয়েকদফা তার বাড়িতে যান এবং তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখান। সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে এক নৌটিশে আগামী ৭ ই মার্চ যশোর কোতয়ালী থানায় হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এমনকি মামলার বাদী তফজেল বিশ্বাস বৃদ্ধ আতাউর রহমানের বাড়িতে যেয়ে অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে শাসিয়ে আসেন এবং পুলিশ দিয়ে মিথ্যে মামলা ও জেল খাটানোর হুমকি দেন।এব্যাপারে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা তালবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এস আই মতিউর রহমান জানান,আগামী ৭মার্চ বিকেল ৪টায় এসংকান্ত একটি শালিসীর জন্য আতাউর রহমানকে নৌটিশ করা হয়েছে। তাকে কোন ধরনের ভয়ভীতি বা হয়রানী করা হচ্ছে, এমন আচারন কখনও করা হয়নি।
মামলার অভিযোগকারী তফজেল বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কয়েকদফা তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এবং তার বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply