শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন

প্রতিনিধি আবশ্যক :
বহুল প্রচারিত অনলাইন পত্রিকা জয় বাংলা নিউজ ডট কম ( www.joibanglanews.com)এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা/থানা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক (খালি থাকা সাপেক্ষে) প্রতিনিধি আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীদের পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, অভিজ্ঞতা ( যদি থাকে) উল্লেখ পূর্বক জীবন বৃত্তান্ত এবং মোবাইল নাম্বার সহ ইমেইলে ( joibanglanews@gmail.com ) আবেদন করতে হবে।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ভ্রমণ যাত্রা প্রথম দিনের পর থেকে

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ভ্রমণ যাত্রা প্রথম দিনের পর থেকে

 

আবিদুর রেজা খান: যশোর সদরের হামিদ পুর গ্রামের বন্ধু প্রিয় সংগঠনের দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ভ্রমণ যাত্রা শুক্রবার সকালে হামিদপুর মোড় থেকে শুরু হয়। প্রতিবারের মতো যাত্রার প্রথম প্রহরে ঠিক করা হয় গোটা ভ্রমনের দল নেতা। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ভ্রমণ যাত্রা (৭) দল নেতা ঠিক করা হয় এ্যাড:মুঞ্জুরুল মাহমুদ লিটু। তার নেতৃত্বে গোটা দিন চলতে হবে। ভ্রমণ যাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন জয় বাংলা নিউজের সম্পাদক আবিদুর রেজা খান,সাবেক সেনা সদস্য আমিনুর রহমান মিন্টু,সিনিয়ার শিক্ষক মুনসী সনোয়ার,প্রভাষক রাজু আহম্মেদ,ব্যবসায়ী পিন্টু,ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান মাসুদ, ব্যবসায়ী নুরুন্নবী,প্রধান শিক্ষাক আব্দুল হাই,ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান আকতার ও সহকারী আইন জীবি আজিজুর রহমান।

২০/২৫ মিনিটের মধ্যে পৌছে গেলাম মাগুরার শালিখা উপজেলার মশাখালী ঘাটে ফটকী নদীর উপর  ঐত্যিহাসিক আড়পাড়া ব্রীজে। দলের কেউ ওই ব্রীজে নামতে চাইলো না কিন্তু আমি নামলাম। ১০ মিনিট অবস্থান করলাম ঐত্যিহাসিক আড়পাড়া ব্রীজে। ওখান থেকে

বেরিয়ে পড়লাম মাগুরার শহরের ভায়না মোড়ের হেমন্ত সাহার শান্তনা হোটেল নাস্তা করার জন্যে নামলাম। হোটেলের মালিক হেমন্ত সাহা বেশ মজার মানুষ। ঈদের পরের দিন হওয়ায় কোন নাস্তা ছিল না। আমরাই নাস্তা তৈরী করে নাস্তা করলাম। হোটেলে প্রায় ২ঘন্টা সময় কেটে গেল। ওই সময় টুকু বেশ মনে রাখার মতো। বেরিয়ে পড়লাম হযরত পীর মোকাররম দরগা দর্শণের উদ্দেশ্যে।

মাগুরা শহরের প্রায় সাত কিরো মিটার পশ্চিমে ইছাখাদা গ্রামের হযরত পীর মোকাররম শাহ (র) দরগাহ। ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে পোছে গেলাম। তিনি ইছাখাদা গ্রামে এসে ধর্ম প্রচার শুরু করেন। জনশ্রুতি রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারি দরবেশ নিশিকালে এ পথে ভ্রমনের সময় এখানে একটি মসজিদ নির্মান শুরু করেন। নির্মান কাজে নিয়োজিতদের জন্যে ভাত রান্না শেষ তখনও নির্মান কাজ শেষ হয়নি। ভোর রাতে নির্মান কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যান তিনি। সকালে লোকজন দেখতে প্য়া অসমাপ্ত মসজিদ। রান্না করা ভাত আর ভাতের ফ্যান গড়িয়ে পুকুরের মতো তৈরী হয়েছে। ভাতে ওই স্থান উচু টিলার মতো হয়ে উঠে। ওই উচু টিলার নাম হয় ভাতের ভিটা।

মসজিদের ভগ্নাবশেষ এখন বিদ্যমান। ওই সময় নির্মিত ঈদগাহের মেহরাব এখন বিদ্যমান। তিনি এখানে দুটি পুকুর খনন করেন। এখানে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। হযরত পীর মোকাররম শাহ (র) এর অলৌকিক ক্ষমতার কথা জনশ্রুতি রয়েছে। ওই মাটিতে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন ইসলাম ধর্ম প্রচারক হযরত পীর মোকাররম শাহ (র)। আমরা সকলে চির নিদ্রায় শায়িত হযরত পীর মোকাররম শাহ (র) এর মাজার রওনা হলাম সিদ্বেশ্বরী মট দর্শণের উদ্দেশ্যে। ৪/৫ মিনিটের মধ্যে পৌছে গেলাম মটে। মাগুরা শহরের উত্তওে অক্ষখাদায় অবস্থিত। কথিত আছে অতি প্রাচীনকাল থেকে এ স্থানে সিদ্বেশ্বরী মাতার মন্ত্র অঙ্কিত শিলাখন্ড ও কালীমূর্তি ছিল। মট পরিদর্শণ করে রওনা হলাম নতুন আরও একটা দর্শনীয় স্থানের খোজে।

 

 

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved  2019 Joibanglanews.com এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
Translate »