মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০১:১৭ অপরাহ্ন
জেলা প্রতিনিধি,সাতক্ষীরা: দম্পতি শব্দটি দ্বারা ২টি মনের এক যোগসূত্র কে বোঝালেও ,লজ্জার বিষয় আজকাল নারীরাও তাদের স্বামীর কাছে সংরক্ষিত না। হত্যা, যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন,সাথে নতুন যুক্ত হয়েছে প্রিয়জনের সাথেও বিশেষ কারনে ব্ল্যাকমেইল।অহরহ ফাস হচ্ছে স্বামী-সত্রীর বিশেষ মূহুর্তের ভিডিও।আবারও সবচেয়ে প্রিয় মানুষ স্বমীর দ্বারা সমাজের কাছে আড়চোখে তাকানোর কারন হয়ে ঊঠেছে এক মা! সাতক্ষীরায় স্বামীর সংগে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় এক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বয়ারডাঙ্গা গ্রামের স্বামী বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী।পরে বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।বিল্লাল হোসেন (২৭), চন্দনপুর ইউনিয়নের বয়ারডাঙ্গা গ্রামের কামরুল গাজীর ছেলে । চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, স্ত্রী সঙ্গে মেলামেশার অন্তরঙ্গ ভিডিও করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী বিল্লাল হোসেন। এ ঘটনায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী থানায় মামলা দিয়েছেন।জানা গেছে, বিল্লাল হোসেন ১ম সত্রীর কথা গোপন করে নিজেকে অবিবাহিত উল্লেখ করে তার ২য় সত্রীকে বিয়ে করেন, কিন্তু ১ম সত্রীর নিকট তাদের আড়াই বছরের একটি মেয়ে সন্তানও আছে । প্রথম স্ত্রী ,সন্তান থাকার কথা জানতে পারার পর থেকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিল্লালের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে।যার প্রেক্ষিতে লম্পট বিল্লাল হোসেন সূযোগ বুঝে তাদের অন্তরঙ্গ ভিডিও মোবাইলে ধারন করে রাখে। এরপর বিল্লাল হোসেন অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করার ঘটনা জানিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় নিরব থাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। অন্তঃসত্ত্বা দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে নেয়ার জন্য তার পরিবার চাপ দিলে বিল্লাল হোসেন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।কলারোয়া থানা পুলিশের ওসি শেখ মুনির-উল-গীয়াস বলেন, প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন করে বিল্লাল হোসেন দেড় বছর আগে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই মেয়ের সঙ্গে। এক বছর আগে গোপনে তাকে বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে যান। এরপর তাকে পোশাক কারখানায় চাকরিতে দিয়ে নিজে একটি সেলুনের দোকানে কাজ নেন। স্ত্রী বেতনের টাকা দিয়ে স্বামী বিল্লাল হোসেনকে নতুন মোবাইল কিনে দেন। সেই মোবাইল দিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মেলামেশার ভিডিও গোপনে ধারণ করেন বিল্লাল হোসেন। পরে সেগুলো বিভিন্ন মোবাইল ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।ওসি আরও বলেন, এসব ঘটনায় বিল্লাল হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন। আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসলে কি বিল্লাল হোসেন উপযুক্ত শাস্তি পাবে? শাস্তি না পেলে সত্রীরা যেমন স্বামীদের প্রতি আস্থা হারাবে অপরদিকে প্রশ্নবিদ্ধ হবে সুশীল সমাজ
Leave a Reply