মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৪ অপরাহ্ন
হারুন অর রশীদ : তরিকুলা বিশ্বাস ওয়াকফ এষ্টেটের মোতাওয়ালী এম.এ কুদ্দুস বকুল ওয়ারিশদের ফাকিদিয়ে ওই এষ্টেটের সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে আতসাত করে আসছে। এমনকি জালিয়াতির মাধ্যমে এষ্টেটের সম্পত্তি বিক্রি করে মোটা টাকা হাতিয়ে নিজে ভোগ করছে। এতে ওই এষ্টেটের ওয়ারিশগণ বঞ্চিত হচ্ছে। তার এ অবৈধ কর্মকান্ডে চিত্র যশোর,খুলনাসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে যশোর জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নেন। সহকারী কমিশনার ভুমি, যার স্মারক নং ০৫.৪৪.৪১০০.০০৫.০৭.০০৮.১৮ ওই ঘটনার তদন্তে এম.এ কুদ্দুস বকুলের জাল জালিয়াতী ফাঁস হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন নিজে ও তার সন্ত্রাসী পুত্র হিরক। সাংবাদিরা তার অবৈধ কর্মকান্ডের চিত্র ফাস করে দেওয়ায় অকথ্য ভাষা আর মিথ্যা মামলা করার ষড়যন্ত্র লিপ্ত হচ্ছেন তার সহযোগীরা। সম্প্রতি বকুল একটি জমি বিক্রয় করেন জাল দলিল সৃষ্টি করে যার দলিল নং ১১০৬৫/১৭ এ ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মামলা নং- সি.আর- ১৬২৬/১৮। এছাড়াও ভুমি দস্যু বকুল তরিকুলা বিশ্বাস ওয়াকফ এষ্টেটের সম্পত্তি বিক্রিয় জন্য খায়রুল জামান নামে এক ব্যক্তির নিকট হতে নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে ১২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ঘটনার পরে এষ্টেটের ওয়ারিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম,বোন সাবেক কমিশনার রশিদা রহমান,ভাই সেকেন্দার আলী (বিদ্যুৎ, তাদের ওয়ারেশ সূত্র পাওনা চাইতে গেলে বিভিন্ন হুমকি, হত্যা ও চাঁদাবাজি মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এতে নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করেন যার নং ১০১১। এতে এম.এ কুদ্দুস বকুল, সন্ত্রাসী পুত্র ও তার সহযোগীদের দিয়ে ওয়ারেশদেরকে বিভিন্ন সময় হুমকি প্রদর্শন করছে। এ ব্যাপারে ভুমি দস্যুদের গ্রেফতারসহ যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এষ্টেটের বঞ্চিত ওয়ারিশগণ।
Leave a Reply