শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রপর্িোটার: যশোরে গণপিটুনীতে সানি হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনায় নিহতের বোন শম্পা খাতুন ৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
যশোর শহরের সরকারি মুরগি ফার্ম এলাকার ধনুর মেয়ে, নিহত সানি হোসেনের বোন শম্পা খাতুন ৮জনের নাম উল্লেখ করে বুধবার বিকেলে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
শম্পা খাতুন জানিয়েছেন, তার ভাইয়ের হত্যার সাথে জড়িত ৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে ৪/৫জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগে আহত নয়ন, আনন্দ, এবং শংকরপুরের মতিন ওরফে সিআইডি মতিন, সুমন ওরফে ভুষি সুমন, টুটুলের নাম রয়েছে। পুলিশ এখনো এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেনি।
যশোর কোতয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক সমীর কুমার বিশ্বাস জানান, সানি হোসেন হত্যার ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটকও করা হয়নি। অভিযোগ দিলে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে যশোর বাসটার্মিনাল এলাকার বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে নয়ন ওরফে গিটার নয়নকে লক্ষ্য করে নিহত সানি হোসেন ও আহত আনন্দসহ ৫/৬জন বোমা হামলা চালায়। এসময় স্থানীয়রা সানি ও আনন্দকে গণধোলাই দেয়। সানির পকেটে থাকা বোমা বিস্ফোরণে তার শরীরে ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়।
পুলিশ সানি হোসেন ও আনন্দ এবং গিটার নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। রাত ৯টার দিকে ডাক্তার সানি হোসেনকে মৃত্যু ঘোষণা করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য গিটার নয়নকে ঢাকায় রেফার করে।
কোতয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, আহত নয়ন বেজপাড়া মেইন রোডের ফারুক হোসেনের ছেলে এবং আনন্দ একই এলাকার অশোকের ছেলে। সানির বিরুদ্ধে ৮টি, নয়ন ও আনন্দের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
Leave a Reply