শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ০৯:১১ অপরাহ্ন
এম আকাশ,সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন নিজদেবপুর একটা সুবিধাবঞ্চিত গ্রামের নাম। গ্রামের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখলে মনে হতে পারে হয়তোবা এই গ্রামটি এখনো আধুনিকতার ছোঁয়া পায় নি। রাস্তাঘাট ইটের হলেও সেগুলো চলাচলের অযোগ্য। বর্ষা মৌসুমে এই গ্রামের মানুষের চলাচলের ভোগান্তির সীমানা চিন্তারও বাইরে, এমন একটা দিন খুজে পাওয়া যায় না যে যেদিন দু-একজন রাস্থায় পড়ে গুরুতর আহত হয়নি। রায়পুর হতে নিজদেবপুর সড়কের মধ্যেই অবস্থিত ২টা প্রাইমারি স্কুল, ১টা হাইস্কুল সহ আরোও কয়েকটা ইসলাম ধর্মাবলীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যদিও সড়ক ব্যবস্থার এহেন পরিস্থিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা সন্তোষজন নয়। কেননা সচেতন অভিভাবক তার সন্তান কে ভোগান্তির মাঝে রাখতে চায় না। অনুসন্ধানকালে খোঁজ মেলে এমন একটা পাড়া/ মহল্লার যার জনসংখ্যা ১০০ এর কম নয়, তারা একুশ শতাব্দীতে এসেও বিদ্যৎ সুবিধা বঞ্চিত, যদিও এই গ্রামের উপর দিয়ে চলে গেছে প্রায় ১০ মাইল এলাকা জুড়ে বৈদ্যুতিক খুটি ও সংযোগ তার। সরেজমিনে অনুসন্ধান কালে দেখা যায় তাদের কেউ- কেউ ১২০ মিটারের মধ্যে অবস্থান করলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায় নি। কারন হিসাবে তারা উল্লেখ করেছে ক্ষমতাসীনদের কথা, সংযোগ নিতে গেলে তাদের ক্ষমতাধর দের আবাদী জমির উপর দিয়ে সংযোগ তার নিয়ে যেতে হবে অথবা অন্য একজনের বসতভিটার উপর দিয়ে। তবে তারা তাদের মালিকানাধীন জায়গার উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার যেতে দেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান করছে। তবে কি তারা একুশ শতাব্দী তে এসেও বিদ্যুৎ সুবিধা হতে বঞ্চিত হবে? দেশরত্ন জননেত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করছে, তখনো কোন কোন মানুষ বাঁধা সৃষ্টি করছে নিজেরা বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করেও অন্যদের বঞ্চিত করতে। তাহলে কিভাবে পূরণ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন? এই মহল্লার মানুষের প্রানের দাবী, তারা আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগের বাঁধা না দিক অথবা প্রশাসন তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুক। তারাও আমাদের মতো হারিকেনের আলোতে জীবন পার করুক,হয়তোবা তখন তারা আমাদের কষ্ট কিছুটা হলেও বুঝতে পারবে। শেষ সময় করুন দৃষ্টিতে তাদের একটাই কথা ছিলো “তবে কি আমরা গরীব বলে বিদ্যুৎ পাবো না?” প্রসাশনের নিকট একটিই চাওয়া, এই অবহেলিত – নির্যাতিত জনগোষ্ঠী কে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হোক, যাতে তারা নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করতে পারে। এগিয়ে যেতে পারে প্রগতিশীল সমাজে।
Leave a Reply