মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোর বাঘারপাড়ার পান্তাপাড়া গ্রামে গৃহবধূ জিনিয়া ইয়াসমিন তুলিকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডের সজিড় থাকার অভিযোগে তার দেবর শাহাবুদ্দিন আটক করে পুলিশ। তবে পরিকল্পনাকারী স্বামী জুলফিকার,শাশুড়ি ফরিদা ও ননদ সুরাইয়া আটক হয়নি। এ ঘটনায় রোববার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তুলির বাবা শহিদুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তুলির মা ছকিনা বেগম, বড় ভাই নূর মোহাম্মদ, ছোট ভাই নূর আলম, চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম ও মামী সালমা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন ২০১১ সালে ৮ জুলাই বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের জুলফিকারের সাথে তার মেয়ে তুলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে তার মেয়ের ওপর নির্যাতন করতে শুরু করে। মেয়েকে সুখের কথা চিন্তা কওে ভ্যান চালক বাবা সাড়ে তিন লাখ টাকাসহ আসবাবপত্র দেন। ২০১২ সালে বিয়ের তথ্য গোপন রেখে জুলফিকার বিমান বাহিনীতে চাকরি নেয়। চাকরির সময়ও তিনি বড় অংকের টাকা দেন তাকে। চাকরি পাওয়ার পর জুলফিকার তার মেয়েকে নিয়ে ঢাকার বালুঘাটে ভাড়া থাকতো। তাদের সংসার জীবনে দুই ছেলে সন্তান হয়। জুলফিকার গোপনে একটি বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তার মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু হকরে। একপর্যায়ে কৌশলে জুলফিকার তার মেয়েকে গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। জুলফিকারের নির্দেশে তার ভাই শাহাবুদ্দিন, মা ফরিদা ও ছোট বোন সুরাইয়া তার মেয়ের ওপর অত্যাচার করতে থাকে। ১২ এপ্রিল মেয়েকে চরম মারধর করলে তিনি মেয়ে ও তার ছোট ছেলেকে নিজের বাড়িতে আনেন। ১৩ এপ্রিল তুলির শ্বশুর বাড়ি থেকে খবর দেয়া হয় তার বড় ছেলে খুবই অসুস্থ। শহিদুল খবর পেয়ে ওই দিনই মেয়েকে নিয়ে পান্তাপাড়া যান। ওই দিন রাতে তার মেয়েকে কৌশলে তার শাশুড়ি অন্যঘরের ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় জুলফিকারের ছোট ভাই শাহাবুদ্দিন তার মেয়েকে কোপাতে থাকে। তুলির পিঠে ৯টি, পেটে ২টিসহ অন্যান্য স্থানে ১৪ টি কোপ দেয়া হয়। মেয়ের চিৎকারের প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাদের সহযোগিতায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংঙ্খাজনক হওয়ায় ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় জুলফিকার, তার ভাই শাহাবুদ্দিন,মা ফরিদা ও বোন সুরাইয়ার নামে মামলা করি। মামলা করার পরে আসামি জুলফিকার তার পরিবারকে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবার।
Leave a Reply