মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে ইজিবাইক চালক রুবেল হত্যা মামলার আসামি আশরাফুল কবীর সিকদার ও শাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়নের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন সিআইডি পুলিশের সাত দিনের রিমান্ডের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এর আগে তাদেরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ । আশরাফুল কবীর সিকদার শহরের ষষ্ঠীতলার রাকিব সিকদারের ছেলে ও হিটার নয়ন শংকরপুর এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে।
গতবছরের ২০ এপ্রিল সন্ত্রাসীদের হাতে গুরুতর জখম হয় যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শহিদ ড্রাইভারের ছেলে ইজিবাইক চালক রুবেল হোসেন। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এবং অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়। আর সেখানেই ২৪ এপ্রিল রুবেল মারা যান। এঘটনায় নিহতের বোন নাজমা খাতুন বাদী হয়ে ২৫ এপ্রিল জুডিসিয়াল আদালতে ১৩ জনের নামে অভিযোগ দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। এ মামলার আসামিরা হচ্ছেন শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকার আলমাসের ছেলে আলোচিত ম্যানসেল, রেলগেট পশ্চিমপাড়ার ফায়েক শেখের দুই ছেলে সাগর ও রমজান, শংকরপুরে তৌহিদের ছেলে রাকিব, চাঁচড়া রায়পাড়ার জিহাদ আলীর ছেলে বাবু, মৃত লতিফ শেখের ছেলে শিকদার, রেলগেটের বাশারের ছেলে তুহিন, ষষ্ঠীতলার ঝন্টুর ছেলে রানা, রেলস্টেশন এলাকার টনুর ছেলে জাফর ও জাহিদ, রেলগেট কলাবাগান এলাকার মৃত নাজির আলীর ছেলে পলাশ, শংকরপুরের ফারুকের ছেলে নয়ন এবং রেলগেট কলাবাগানের কফিল উদ্দিনের ছেলে মোহন আলী।
আদালতে দায়েরকৃত মামলায় নাজমা খাতুন অভিযোগ করেছেন, তার ভাই রুবেল হোসেন ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আসামিরা চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। তারা ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে। বিভিন্ন সময় আসামি ম্যানসেলের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা রুবেলের কাছে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু রুবেল চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা তাকে হুমকিও দেয়। এ ঘটনার পর গত ২০ এপ্রিল আসামি ম্যানসেল ও রমজানের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা রুবেলকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রুবেলের উপর হামলা চালানো হয়। পরে রুবেলের মৃত্যু হয়।
Leave a Reply