মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
শহিদ জয়: যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড ও পুরুষ পেইংং ওয়ার্ডে রোগী দের সরকারী সাপ্লাই ওষধ তাদের না দিয়ে তাদের দ্বারা বাহির থেকে ক্রায় করানো হচ্ছে অভিযোগ করেছেন একাধিক রোগী ও রোগীর স্বজনরা৷ এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন সরকারি সাপ্লাই আছে নিচ্চিত করেছেন পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের ইনচার্জ নাজমা খাতুন ও গ্যাসের ইনজেকসন সরকারি সাপ্লাই আছে নিচ্চিত করেছেন পুরুষ পেইংং ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাপ নার্স শেফালী৷
রোগী ও রোগীর স্বজনেরা আরো অভিযোগ করেন এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন সরকারী ভাবে সাপ্লাই আছে কিন্তু আমাদের না দিয়ে আমাদের দিয়ে বাহির থেকে সে গুলো ক্রায় করানো হচ্ছে৷ সরকারী সাপ্লাই ওষধ গুলো তাহলে কোথাই যাচ্ছে! এমন অভিযোগ ভূক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজন দের৷ অভিযোগ কারি রোগীরা হলেন মাগুরা জেলার মহাম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের মৃৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান৷ ও একই জেলার শালীখা উপজেলার বাগডাঙা গ্রামের ইউনুচ মোল্যার ছেলে মিরাজ হোসেন (১৪)৷ তারা দুইজনে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন৷ অন্যদিকে যশোর সদর উপজেলার মামলা খোলা গ্রামের খয়বার শেখের ছেলে গোলাম রসুল (৪৫) ও চৌগাছা উপজেলার দক্ষিন কয়ার পাড়া গ্রামের আরজুল্লাহ দফাদারের ছেলে আব্দুল মোতালেব (৫০) তারা দুজনে পুরুষ পেইংং ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন৷
অস্থুস্থ হাবিবুরের ভাতিজা অভিযোগ করে বলেন আমার ভাতিজা সেলিম হোসেন বলেন আমার চাচা হাবিবুর রহমানকে গত ৮ এপ্রিল রাত ২টার দিকে কীটনাশক পান করার কারনে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করি৷ সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন সহ সকল প্রকার ঔষধ আমরা বাইরে থেকে ক্রয় করছি৷ তাহলে সরকারী হাসপাতালে এসে লাভ কি? এখানে সরকারি ঔষধ সাপ্লাই আছে কিন্তু আমাদের দেওয়া হয়নি৷ তাহলে এই সরকারী ঔষধ গুলো যাচ্ছে কোথাই! তেমনি অস্থুস্থ মিরাজের পিতা ইউনুচ অভিযোগ করে বলেন আমার ছেলে মিরাজ জ্বরের কারনে অস্থুস্থ হলে গত ৯ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করি৷ সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত আমরা এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন সহ সকল প্রকার ঔষধ বাইরে থেকে ক্রয় করে আনছি৷ কিন্তু সরকারি ভাবে যে সকল ঔষধ সাপ্লাই আছে তা এখনো পর্যন্ত আমাদের ভাগ্যে জোটেনি৷ এর কারন আমি বুঝতে পারছিনা৷ তাহলে সরকারি সাপ্লাই ঔষধ যাচ্ছে কোথাই!
অন্যদিকে পুরুষ পেইং ওয়ার্ডের ১৬ নাম্বার বিছানায় রোগী গোলাম রসুলের স্ত্রী অন্জনা বেগম অভিযোগ করে বলেন,আমার স্বামী গোলাম রসুলের শ্বাস কষ্ট ও বুকে ব্যাথা নিয়ে গত ৮ এপ্রিল যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ পেইং ওয়ার্ডে ভর্তি করি৷ সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত আমরা হাসপাতালে সরকারি সাপ্লাই এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন সহ সকল প্রকারের ঔষধ আমাদের বাইরে থেকে ক্রয় করে আনতে হয়েছে৷ তাহলে সরকারি সাপ্লাই ঔষধ যাচ্ছে কোথাই ! এদিকে হাসপাতালের পুরুষ পেইং বেড ১৮ নাম্বারে ভর্তি আব্দুল মোতালেবের বোন সোনালী অভিযোগ করে বলেন আমার ভাই আব্দুল মোতালেব ষ্টোক করার পরে গত ৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে দশ টার দিকে,যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ পেইং ওয়ার্ডে ভর্তি করি৷ সেই থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত একটা গ্যাসের ক্যাপসুল পেয়েছি৷ হাসপাতালে সরকারী সাপ্লাই এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন সহ সকল প্রকার ওষধ আমাদের বাহির থেকে ক্রয় করে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে৷ আমাদের একটাই প্রশ্ন যে সরকারি সাপ্লাই যে সকল ঔষধ হাসপাতালে আছে সে গুলো যাচ্ছে কোথাই! অভিযোগ ভূক্তভূগী রোগী ও তাদের স্বজনদের৷ জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন ও গ্যাসের ইনজেকশন আগে সাপ্লাই ছিলো৷ বর্তমানে পরিমানে একটু কমে যাওয়ার কথা৷ এরপর আগামী কাল শনিবার অফিসে যেয়ে খাতা পত্র দেখতে হবে যে ঔষধ সাপ্লাই আছে কিনা৷ আমার লোক ঢাকায় গেছে ঔষধ আনতে আগামি কাল ঔষধ নিয়ে ফিরবে তখন আমরা সরকারি সাপ্লাই ঔষধ রোগীদের দিতে পারবো
Leave a Reply