রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোর সদরের ফতেপুর গ্রামের লম্পট রেজাউল ওই গ্রামের এক শিশুকে গর্ভপাত ঘটায়। এক পর্যায় ওই লম্পট ঘটনা চাপা দিতে তার ছেলের সাথে শিশুর বিয়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান রেজাউল ইসলাম ফতেপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়ির পাশে ঘর বেধে বসবাস করেন। লম্পট রেজাউল ভয়ভীতি দিয়ে ওই শিশুকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিল। এক পর্যায় ওই শিশু ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লম্পট অর্থের বিনিময়ে ফতেপুর ইউনিয়নের মেম্বর তবিবর রহমানকে দিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। শুধু তাই নয় গত ৪ এপ্রিল রাতে রেজাউলের এক ছেলের সাথে শিশুটিও বিয়েও দেয়া হয়। গত শুক্রবার সকাল থেকে বিয়ের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর রেজাউলের পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকে কেউ আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। এ ব্যাপারে ফতেপুর সন্যাসী বটতলায় গেলে খোঁজ মেলে রেজাউল ইসলামের বাড়ি। কথা হয় তার শাশুড়ি, শালাবউ ও এক ভাইরা ভাইয়ের সাথে। তারা প্রথমে কেউ মুখ খুলতে চাননি। এক পর্যায়ে বললেন, আপনারা যা শুনেছেন, আমরাও তাই শুনেছি।
অন্ত:সত্ত্বার বিষয়টি চেপে গিয়ে তারা বলেন,আমরা ঘরের মধ্যে টের পাইনি। আপনাদের কে বললো? স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে এগিয়ে আসলেন। কেউ নাম বলতে না চাইলেও অকপটে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের ফলে শিশুটি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। ফতেপুর মোড়ে আসলে অনেকেই বলেছেন, ওই শিশুর সাথে বায়েজিদের সম্পর্ক ছিল। যার কারণে শিশুটি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে লোকজনের চাপের কারণে তার ছেলে শিশুটিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। প্রকাশ না করার শর্তে কাবিন নামার একজন সাক্ষি বলেন, যশোর শহরের সিভিল কোর্টের মোড়ে হোসেন কাজী এ বিয়ে পড়িয়েছেন। কাবিন নামায় মেয়ের ১৮ বছর দেখানো হয়েছে। কাজী হোসেন আলীর বিয়ে পড়ানোর কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু নাবালক হওয়ায় আমি যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগের মতে রেজাউলকে বাঁচানো এবং নাবালিকাকে বিয়ে দেয়ার মূল হোতা স্থানীয় মেম্বর তবিবর রহমান। তাকে দুদিন ধরে খোঁজার পর মোবাইল ফোন রিসিভ করেন। তিনি এরকম কোন সংবাদ জানেন না বলে দাবি করেন, স্থানীয়রা আমাকে ফাঁসানোর জন্য অপপ্রচার করছেন।
ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিয়ের পর আমি বিষয়টি শুনেছি। তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে এমন সংবাদও আমার আছে এসেছে। তবে কেউ অভিযোগ না করায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারিনি।
Leave a Reply