শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:যশোরে ম্যাস হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ করা হচ্ছে,কৃমিনাশক ওষুদ সেবন করার কারনে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন ম্যাস হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল দশটা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে শার্শা উপজেলার পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না ইয়াসমিন মিম (১৪), হালিমা (১৪), রাসেল (১৪), তাবাসসুম হাবিব ঋতু (১৪), রিমা (১৪), ষষ্ঠ শ্রেণির আলিফা ইয়াসমিন (১২), জান্নাতুল (১৩), শাহরিয়া ইয়াসমিন নিশি (১২), সপ্তম শ্রেণির মুন্নি (১৪) এবং দশম শ্রেণির স্মৃতি (১৫)। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শামসুন্নাহার,সালেহা বেগম, আব্দুল মজিদ, হাবিবুর রহমান, সাদিকুল ইসলাম জানান,তিনদিন আগে পাকশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক খাওয়ানো হয়। ওষুধ খাওয়ার পর বাচ্চারা অসুস্থ বোধ করতে থাকে। আজ সকাল থেকে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। অভিভাবকদের মধ্যে শামসুন্নাহার অভিযোগ করে বলেন, ‘এতো ছেলে-মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লো। অথচ প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের কোনো মাথাব্যথা নেই। যেন কোনো কিছুই ঘটেনি। পরে বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিবকে ফোন দেই। তিনি গাড়ি পাঠালে শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে আসি।’ বক্তব্য জানার জন্য স্কুলটির প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথার শুরুতেই ফোন বন্ধ করে দেন। স্কুলের হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক মমিনুর রহমান বলেন, ‘কৃমির ওষুধ সেবনের কারণে এঘটনা ঘটেনি। কী কারণে ঘটেছে, তা আমার জানা নেই।’ যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার এম আব্দুর রশিদ বলেন, ‘এটি একটি রোগ- ম্যাস হিস্টিরিয়া। মূলত ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ হয়েছে আতঙ্কে। কৃমিনাশক ওষুধ সেবনে এঘটনা ঘটার কোনো কারণ নেই। অসুস্থরা সবাই শঙ্কামুক্ত আশা করা যায়।’
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার বলেন,‘আমি খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নলেজে আছে বিষয়টি। আমি নিজে হাসপাতালে যোগাযোগ রাখছি।
Leave a Reply