শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
জয় ডেক্স: ছেলে বদসঙ্গে মিশে জুয়ারি ও নেশাখোর হয়ে গিয়েছিল। তাই তাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করল তার নিজের মা। ১৮ বছর পর পুলিশ সেই খুনের সঙ্গে জড়িত দুই ভগ্নীপতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদের শহরে।
পুলিশ কমিশনার অঞ্জনি কুমার বলেন, ‘টাস্ক ফোর্স, সাউথ জোন টিম এবং মাইলারদেব পল্লীর পুলিসের সহায়তায় ১৮ বছর পর তিনজনকে এই খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ ধৃতরা হল সৈয়দ হাসহাম, মোহাম্মদ রশিদ এবং বশির আহমেদ কুরেশি। এই তিনজন খুনের মামলাতে জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত ওই ছেলের মা মাসুদার তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। স্বামী মারা যাওয়ার পর সে তার সন্তানদের জন্য ফের বিয়ে করেন মাসুদা। কিন্তু মায়ের পুনরায় বিয়ে করাকে ভাল নজরে দেখেনি মাসুদার দ্বিতীয় পুত্র মোহাম্মদ খাজা। জুয়া, মদসহ নানা ধরনের নেশা গ্রাস করে খাজাকে। খাজার কীর্তিকলাপে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলেন তার মা মাসুদা।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মোহাম্মদ খাজা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার সমস্ত খরচের জন্য মায়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের হেনস্থা করতে থাকে। এমনকী মায়ের ওপর হামলাও চালায় সে এবং নিজের ব্যক্তিগত খরচের জন্য বাড়ির বেশ কিছু আসবার পত্র বিক্রি করে দেয়। খাজার জন্য মাসুদা তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় এবং নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে। মাসুদা এ বিষয়ে তার চতুর্থ ও পঞ্চম জামাই রশিদ ও বশিরের সঙ্গে আলোচনা করেন।’
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ খাজাকে খুন করতে রাজি হয়ে যান মাসুদার দুই মেয়েজামাই। তারা এ বিষয়ে অটো চালক হাসহামের সাহায্য নেয়। তার মাসুদার কাছ থেকে কিছু টাকাও নেয় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য।
পুলিশ জানায়, ‘১৮ বছর আগে ২০০১ সালের ৪ জুন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যার সময়, অভিযুক্ত তিনজন খাজাকে মদ পানের আমন্ত্রণ জানান।
ঘটনার দিন হাসহামের অটো করেই তারা সবাই মদ কিনতে যায়। অটোর মধ্যেই ভারী পাথর দিয়ে খাজাকে প্রথমে আহত করে এবং পরে খুন করে। এরপর তারা খাজার মা মাসুদাকে এই খুনের বিষয়ে জানায়।’
ওই বছরের ৫ জুন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। তবে এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী মাসুদা এখনও পলাতক।
সূত্র: আজকাল
Leave a Reply