শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ০৯:১১ অপরাহ্ন
\ হারুন অর রশীদ \ সড়ক দূর্ঘটনা কোন কিছুতেই যেন লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। দূর্ঘটনা গাড়ীর চাকায় পিষ্ট হয়ে রক্তাক্ত হচ্ছে সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করে এখনো পর্যন্ত নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা পাচ্ছেনা স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষার্থীরা, না পাচ্ছে গণপরিবহনের যাত্রীরা। প্রতিনিয়ত দেশের এমন সড়ক নাই যে, অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচা যাবে, এমনি একটা অবস্থায় দাড়িয়েছে গণপরিবহনের চালকদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বসেছে। একের পর এক মেধাবী শিক্ষার্থী, স্কুলগামী কোমলমতি সন্তানরা এ মন্ত্র দানবের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না, সন্তানহারা হচ্ছে পিতা-মাতা আহাজারী হচ্ছে স্বজনদের, নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা, সান্তনা দিতে আসছেন ডিএমপি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শুরু করছেন ঢাকঢোল পিটিয়ে নানা কর্মসূচী, পরিসখ্যান ব্যানার ফেস্টুনি দিয়ে সপ্তাহ মাসব্যাপী, সড়ক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক আইন মেনে চলুন,
তবুও দুর দুরত্ব পরিবহন, ট্রাক, গণপরিবহন, ছোট যান্ত্রীক চালিত সিএনজি, ইজি বাই, নছিমন করিমন, সবই যেন তাদের দখলে সড়ক। এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে খুলনায় স্কুলগামী ছাত্রী পিষ্ট হলো গণপরিবহনের চাকায়, লাশের মিছিলের সবশেষ সংখ্যা হলো আবরার, যশোর খুলনা সড়কে হলো পাঁচজন। এভাবেই প্রতিনিয়ত রক্তাক্ত হচ্ছে সড়ক। এক্ষেত্রে সড়ক ব্যবস্থাপনাকে যদি ঢেলে সাজানো না হয় তাহলে আরো যে কত মায়ের কোল খালী হবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই বলে মনে করেন সচেতন মহল। সংশি¬ষ্ট সূত্র থেকে জানা যায় যে সমস্ত ফিটনেসবিহীন গাড়ী সড়কে চলাচলে করে তাদের মালিকও চালকদের সাথে ট্রাফিক বিভাগের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের সু-সম্পর্ক থাকায় তারা গাড়ীর নামে বা মালিকপক্ষের কোন মামলা হয় না। একারনে সড়কে গাড়ী চালানোর যে গতিমাত্রা আছে তা তারা মানেন না, কারন অধিকাংশ গাড়ীর কাগজপত্র নাই, চালক ছাড়া হেলপার দিয়েও গাড়ী চালানো হয়, অন্যদিকে মালিক পক্ষ অর্থলোভে একজন চালককে চার টিপ করে গাড়ী চালাতে হয়। এতেকরে দূর পাল¬ার গাড়ী দীর্ঘটনায় কবলিত হয়। স¤প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়া থাকা স্বত্বেও যত্রতত্র গাড়ী বেপরোয়ানা চালানো ইজিবাইক মহাসড়কে উঠা নিষেধ থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় সড়ক দূর্ঘটনা থেকে নেই। এর থেকে পরিত্রান পেতে হলে প্রশাসনের আন্তরিত হতে হবে মনে করেন অভিজ্ঞমহল।
Leave a Reply