রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
\ হারুন অর রশিদ \ পাটকলে হতাশা শ্রমিক আন্দোলন, ধর্মঘট, ক্রমে পাট তার গৌরব হারাতে শুরু করেছে। যার এক সময়ের নাম ছিল সোনার বাংলার সোনালী আঁস, গৌরবময় পাট এখন তার বিকল্প হিসাবে থাকছে সিনথেটিক পণ্য স্বাধীন বাংলার পর হতে দেখা মিলতো বাজারে পাটের ব্যাগ, পাটের বস্তা, পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী তৈরী করে বাজারজাত করা হতো। একসময় পাটের বস্তার বার্ষিক চাহিদা ১০ কোটি থেকে ৭০ কোটিতে গিয়ে দাড়িয়েছিলো। আমাদের দেশ থেকে ১১৮টি দেশে বহুমুখী পাটপণ্য রপ্তানী শুরু হলেও পাটজাত পণ্যের বাজারজাত বাড়ছে না, পাটকল শ্রমিক সহ বেশ কয়জন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানাগেছে দীর্ঘদিনেও মিলগুলোর যন্ত্রাংশ আধুনিকীকরন না হওয়ায় পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কমে আসছে। এমনকি সময়মতো উৎপাদিত পণ্য বিক্রি না হওয়ায় বেহাল যন্ত্রপাতি নিয়ে বিপাকে পড়ছে মিল মালিকগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আহাদ জুট মিলের একজন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ অর্ধশত বছরের বেশী সময়ে এসব পাটকলের উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী। যন্ত্রপাতি গুলো আধুনিকীকরণ বা বিএসআরই না হওয়ায় স্পিনিং ডাফটনার ব্রেকার ও ফিনিশার কার্য এবং ড্রয়িং মেশিন বেহাল, তিনি আরো জানান পাটশিল্পের গৌলব ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০০৮ সালে এবং বাংলাদেশেই প্রথম পাটের জেনোস আবিস্কৃত হয়। বেশকিছুদিন বন্ধ পাটকল আবার চালু করা হয়, এক পর্যায়ে পাটের উৎপাদন নতুন করে বৃদ্ধি পায়, এমনকি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ সালে প্রনয়নের মাধ্যমে বেশ কিছু বন্ধ পাটকল আবার চালু করা হয়। এক পর্যায়ে পাটের উৎপাদন নতুন করে বৃদ্ধি পায়, এমনকি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ প্রনয়নের মাধ্যমে বেশ কিছু পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিলো, ক্ষতিকর পলিথিন বাগের ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, স¤প্রতি বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে উৎপাদন ও বিক্রয়তাকে জরিমানা করতে দেখা গেছে।
সে সময় শহর ও শহরতলী জেলা উপজেলা এলাকাগুলোতে প্রতিটা দোকানে পাটের ব্যাগ দেখা যেতো স¤প্রতি কালে বন্ধ হয়ে পুনরায় সেই পলিথিন ব্যাগ আর নেট ব্যাগের ছড়াছড়ি হয়ে উঠেছে। ফলে দিন দিন পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কমে আসছে। অথচ এই পাটকলগুলো আধুনিক করে তোলা গেলে সহজেই আন্তর্জাতিক বাজার স¤প্রসারন করা সম্ভব, তাহলে সোনালী ফাঁশ পাটের মুল্যায়ন অর্থনৈতিক দিক আমাদের আরো দ্বিগুন হয়ে দাড়িয়ে হাজার বিলিয়ন ডলারের বাজার তে পারে বলে আমরা আশা করব, সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর দেবেন কী ?
Leave a Reply