শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
জয় ডেক্স: সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সজনে ডাঁটা। বহুকাল আগ থেকেই সজনে ডাঁটা খেয়ে আসছে বাঙালিরা। সাধারণত মৌসুমি খাবার হিসেবেই এর গুরুত্ব। প্রধানত শীত শেষের কয়েক মাস ধরে নানা ধরনের তরকারিতে সজনে ডাঁটা ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু সজনে ডাঁটা কেন স্বাস্থ্যকর? অনেক কারণের মধ্যে একটি হলো সজনে ডাঁটা চাষের সময় অধিকাংশ জায়গায় কোনো প্রকারের কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। ফলে অন্য ফসলগুলোর ক্ষেত্রে যেখানে কীটনাশকের অনেকখানি ফসলে থেকে যায় এবং খাবারের মাধ্যমে মানব দেহে ছড়িয়ে পড়ে সেখানে এই ফসলটি সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত।
এছাড়া পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন, এতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন ও খনিজ লবণের মতো সুষম খাদ্য উপাদানগুলো থাকে। ডাঁটা ছাড়াও সজনে গাছের ফুল, বীজ, ছাল, আঠা, তেল প্রভৃতি অংশগুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
একটি জরিপে দেখা গিয়েছে, প্রতি ১০০ গ্রাম সজনে ডাঁটায় ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১১০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৫.৩ মিলিগ্রাম আয়রন, ১.৮ মিলিগ্রাম কপার থাকে।
সজনে গাছের পাতার ক্ষেত্রে ১০০ গ্রাম পাতায় ৪৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৭০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ৭০ মিলিগ্রাম আয়রন এবং সাত মিলিগ্রাম কপার থাকে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন, সজনে গাছের পাতা ও বীজে আটটি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড-সহ প্রচুর পরিমান প্রোটিন থাকে।
সজনে ডাঁটায় প্রচুর ফাইবার থাকে। সজনের পাতায় থাকা খাদ্য উপাদানগুলো মাথা ব্যথা, টিউমার, কৃমি, চোখ ও কানের ব্যথা, ব্রঙ্কাইটিস, স্কার্ভি ইত্যাদি রোগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ। সজনে ফুলের উপাদানগুলো টিউমার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। আবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়া সজনের পাতা থেঁথলে ঘর পরিষ্কারের কাজে এবং বায়োগ্যাস উৎপাদন করা যায়। গ্লোবাল নিউট্রিশন রিপোর্ট-এর একটি জরিপে বলা হয় অপুষ্টির কারণে জন্মের সময় শিশুর ওজন কম হওয়া, মা ও শিশুর রক্তাল্পতা, শৈশবেই চর্মরোগ, দুর্বল দৃষ্টিশক্তি, মানসিক বৃদ্ধি না হওয়া ইত্যাদি কমাতে পারে সজনে ডাঁটা।
সুত্র:সকালের সময়
Leave a Reply