শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

প্রতিনিধি আবশ্যক :
বহুল প্রচারিত অনলাইন পত্রিকা জয় বাংলা নিউজ ডট কম ( www.joibanglanews.com)এর জন্য জরুরী ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা/থানা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক (খালি থাকা সাপেক্ষে) প্রতিনিধি আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীদের পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, অভিজ্ঞতা ( যদি থাকে) উল্লেখ পূর্বক জীবন বৃত্তান্ত এবং মোবাইল নাম্বার সহ ইমেইলে ( joibanglanews@gmail.com ) আবেদন করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর ভেতর দানশীল মনোভাব ছিল: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর ভেতর দানশীল মনোভাব ছিল: প্রধানমন্ত্রী

জয় ডেক্স: জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভেতর সবসময় একটা দানশীল মনোভাব ছিল, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ছিল। যে কারণে ছাত্রদের নিজের বই, কাপড়, ছাতা বিলিয়ে দিতেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ একটি উন্নত জীবন পাবে, এটাই তার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সে কাজ তিনি করে যেতে পারেননি। ১৫ই আগস্ট তাকে মেরে ফেলা হলো। আমি পরিবার হারালাম, আপনজন হারালাম কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ হারিয়েছিল তাদের স্বাধীনতার চেতনা, উন্নত জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা।
তিনি বলেন, পরিবারের সহযোগীতায় বিরাট হৃদয়ের অধিকারী হয়ে উঠে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে প্রায়ই দুর্ভিক্ষ লেগে থাকতো নিজের গোলা খুলে দিয়ে ধান বিলিয়ে তিতেন তিনি। আমার দাদা-দাদি কখনও বকাঝকা করেননি। সবসময় তার ভেতরে একটা দানশীল মনোভাব ছিল, মানুষের প্রতি ভালোবাসা ছিল। সেই ভালোবাসার টানেই তিনি আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন। আজকে আমাদের লক্ষ্য তিনি যেভাবে দেখতে চেয়েছিলেন উন্নত সমৃদ্ধা বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

 


প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীর পিতা মানব দরদি ছিলেন। অন্য ছাত্রদের নিজের বই, কাপড়, ছাতা বিলিয়ে দিতেন। এই যে বই দিয়ে দিলেন, কাপড়া দিয়ে দিলেন এ জন্য আমার দাদা-দাদি কখনও আমার বাবাকে কিছু বলতেন না, বরং তাকে সবসময় সহযোগীতা করতেন। ভাবতেন তিনি দেশের জন্য কাজ করতেন। এ জন্য তাকে সাহয্য করতেন। আমার মাও সাহায্য করতেন। কখনও বাবার কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা করতেন না। এ কারণেই তিনি এত বড় ত্যাগ স্বীকার করতে পেরেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপরিচয়ের সুযোগ পেতাম না সেই নেতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। তিনি দেশকে ভালোবেসেছিলেন। ছোটবেলো থেবেই দারিদ্রপীড়িত মানুষকে দেখে তার হৃদয় কাঁদতো। সেই মানুষের কথা বলতে গিয়েই তিনি বছরের পর বছর কারাভোগ করেছেন। কিন্তু কোনো অত্যাচার নির্যাতন বা ফাঁসির দড়িও তাকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু দেশকে নিয়ে যেসব স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তার সবটুকু শেষ করে দিয়ে যেতে পারেননি। ১৯৭৫ সালে ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় তার জীবন। ১৫ আগস্টের শহীদদের কথা বলতে গিয়ে এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা দুবোন পরিবার হারিয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ হারিয়েছিল স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ৭৫ এর পরে বাংলাদেশের শিশু কিশোরেরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারেনি। ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল। কিন্তু সত্যকে কেউ ঢেকে রাখতে পারে না। সত্যের জয় হয়েছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ যেমন ইতিহাস জানতে পারছে তেমনি যে ভাষণ ২১ বছর এদেশের মাটিতে বাজানো যায়নি সেই ভাষণ আজ বিশ্ব স্বীকৃত, বিশ্ব মর্যাদা পেয়েছে। যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জল করেছে।
এর আগে, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় সেনা,নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার দেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাহেতা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ প্রাঙ্গণে রক্ষিত মন্তব্য বহিতে মন্তব্য লেখেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসাবে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আবারও বঙ্গবন্ধুর বেদীতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এটিএম ফজলে রাব্বি মিঞা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, আমির হোসেন আমু এমপি, লে.কর্ণেল(অব.)মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ তন্ময় এমপিসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সুত্র:সকালের সময়

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved  2019 Joibanglanews.com এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
Translate »