রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৭ অপরাহ্ন
জয় ডেক্স: ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ হামলা থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই হামলা চালিয়েছে নিজেকে ব্রেনটন টেরেন্ট বলে পরিচয় দেয়া ২৮ বছর বয়সী এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্রাফটন শহরের অধিবাসী সে। হামলার আগে সে টুইটারে ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ শিরোনামে ৮৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ একটি মেনিফেস্টো প্রকাশ করে।
নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেও দাবি করা ব্রেনটন টেরেন্ট কেন এই হামলা চালিয়েছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা। অস্ট্রেলিয়ার কিছু গণমাধ্যম বলছে, ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল সুইডেনের স্টকহোম শহরে জঙ্গিদের ট্রাকচাপায় হতাহতের ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই নাকি টেরেন্ট এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ধারণার পেছনে হামলাকারীর রাইফেল লেখা কিছু শব্দ যুক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে নিউজ ডটকম এইউ, টাইমস নাউ-এর মতো মিডিয়াগুলো।
টেরেন্ট যে রাইফেল নিয়ে এই হামলা চালান, সেটার গায়ে কিছু শব্দ লেখা ছিল। হামলার ভিডিওতে যে শব্দগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো, ‘ঞড় ঃধশব ৎবাবহমব ভড়ৎ ঊননধ অশবৎষঁহফ’। এবা আকারলাউন্ড নামের ১২ বছরের সুইডিশ মেয়েটি ছিল শ্রবণ প্রতিবন্ধী। স্কুল থেকে ফেরার পথে সে স্টকহোমের ওই ট্রাকচাপায় প্রাণ হারায়। এবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই ক্রাইস্টচার্চে হামলা করে টেরেন্ট। তার রাইফেলের লেখা এবং তার টুইটার অ্যাকাউন্টের বক্তব্য থেকে এ ধারণা করছে গণমাধ্যম।
প্রতিশোধাত্মক এই ঘটনা ইতোমধ্যেই শান্তিকামী মানুষের মনে ভিন্ন এক শঙ্কা জাগিয়ে দিয়েছে। এভাবে যদি প্রতিটি ঘটনার প্রতিশোধ নেয়া শুরু হয়, তবে সারাব পৃথিবী এক সময় নরকে পরিণত হবে। ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে নিহত ৪৯ জনের মধ্যেও অন্তত দুজন শিশু বলে জানা গেছে। নৃশংস এই হামলার পর ধর্মের নামে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবি তুলেছেন শান্তিকামী মানুষ।
সুত্র:সকালের সময়
Leave a Reply