শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
জয় ডেক্স: বসন্তের ছোঁয়ায় ত্বক ও চুলে আসে নানা রকম পরিবর্তন। আর এখন তো বসন্ত প্রায় শেষ, সামনেই আসছে গরমের দিন। এই সময়ে চুল ও ত্বকে সজীবতা ধরে রাখতে কিছু কাজ অবশ্যই মেনে করতে হবে জেনে নিন এখনই।
ফেসওয়াশ ও ক্লেনজার
ঋতু পরিবর্তনের সময় ও গ্রীষ্মে শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী ফোম বা ক্রিমসহ ক্লেনজার, তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য জেলসহ ফেশিয়াল ক্লেনজার ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত আর্দ্র আবহাওয়ায় ত্বক প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ত্বক ভাল রাখার প্রথম ধাপ ক্লেনজিং।
যাদের ফাইন লাইন্স, রিংকলসের সমস্যা রয়েছে, তারা সারা বছর অ্যান্টি-এজিং ফেসওয়াশই ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখুন ফেসওয়াশ ব্যবহারের পর ত্বকে টান ভাব আসা মানে, আপনার ত্বক আর্দ্রতা হারাচ্ছে। এমন ক্লেনজার বেছে নিন, যা ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকে আসা শুষ্কতা প্রতিরোধ করবে। তাহলে ত্বকে র্যাশ ও ব্রণও আসবে না।
ক্লেনজিং মিল্ক
ফেসওয়াশ বা ক্লেনজিং লোশন ব্যবহারের পর হাতে অল্প ক্লেনজিং মিল্ক নিয়ে ম্যাসাজ করে, ভেজা তুলার সাহায্যে তা তুলে নিন। এতে ধুলা-ময়লা পরিষ্কার ও ত্বক নরম ও কোমল থাকবে। ত্বকের ধরন বুঝে ক্লেনজিং মিল্ক ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ক্লেনজিং মিল্ক ব্যবহার না করাই ভাল।
টোনার
ভরা গ্রীষ্মেও মুখ পরিষ্কার করার পর খুলে যাওয়া রোমকূপের মুখ বন্ধ করতে, ত্বকে টানটান ভাব বজায় রাখত টোনার ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত তৈলাক্ত, ব্রণ, র্যাশ প্রবণ ত্বকে টোনারের বদলে ব্যবহার করুন অ্যাস্ট্রিনজেন্ট, যা ত্বকের বাড়তি তেল রিমুভ করে। খুব অল্প পরিমানে তুলায় করে ব্যবহার করুন। চোখের চারপাশে টোনার বা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
ময়েশ্চারাইজিং
বসন্তের শেষে ও গ্রীষ্মেও শুরুতে ত্বকের শুষ্কতা কাটাতে ওয়াটার বেসড ও জেল বেসড হাইড্রেটিং লোশন বা জেল ব্যবহার করুন। যারা অনেক সময়ে এসিতে থাকেন, তারা হাইড্রেটিং লোশন ব্যবহার করবেন। রাতে শোয়ার সময় ত্বকের ধরন অনুযায়ী হালকা কোনো ফেস ময়েশ্চারাইজার অবশ্যই ব্যবহার করুন।
রাতে ময়েশ্চারাইজারের বদলে স্কিন সেরাম বা ফেস অয়েলও ব্যবহার করা যেতে পারে। শুষ্ক ত্বকে নাইট ক্রিম ব্যবহার করুন। রাতে এসিতে ঘুমালে প্রতিদিন মুখের পাশাপাশি গলা ও ঘাড়ের অংশেও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ঘাম হওয়া বা র্যাশের সমস্যা থাকলে সানস্ক্রিন ব্যবহার বন্ধ করবেন না, সেক্ষেত্রে ওয়াটার বেসড, জেল বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। ৩-৪ ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন ব্যবহার প্রয়োজন।
শ্যাম্পু ও চুলের যত্ন
শীতে সপ্তাহে দুই বা তিন দিন শ্যাম্পু করলেও এই সময়ে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করতে হবে। মাইল্ড, সালফেট, প্যারাবেন ফ্রি কোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করুন প্রতিদিন বা একদিন পরপর। চুলের নিচে আলাদা করে শ্যাম্পু দেবেন না। চুলের গোড়াতে দেয়ার সময় যে ফেনা তৈরি হবে, তা দিয়ে চুলের নিচের অংশ পরিষ্কার করুন।
ভেজা চুল আঁচড়াবেন না, ঘষে ঘষে মুছবেন না। নরম তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে চুল শুকিয়ে নিন। কোঁকড়ানো চুলে মাইক্রোফাইবার তোয়ালে ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর পর চুলের নিচের অংশে প্রয়োজন অনুযায়ী কন্ডিশনার লাগান। ২ মিনিট নয়, কম করে ৫ থেকে ৭ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে সেরাম লাগিয়ে নিন চুলের নিচের লম্বা অংশে। কন্ডিশনার চুলের গোড়ায় লাগাবেন না, তাতে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেবে, চুলও তেলতেলে হয়ে যাবে।
ভেজা চুল বেঁধে রাখবেন না আর প্রতিদিন মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ান। কমপক্ষে ২০ বার। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। হেয়ার অয়েল লাগিয়ে একঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। তবে তেল লাগিয়ে বাইরে বের হলে ধুলায় চুলের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।
সুত্র:সকালের সময়
Leave a Reply