সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: প্রতারনা মামলার দপ্তাদেশপ্রাপ্ত এক আসামী প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশের নাকের ডগায়। জানাগেছে শহরের হাজী মোহাম্মদ মহসীন রোডস্থ হাওয়া ফ্যাশান মালিক শাহাব উদ্দিনের ছেলে মনিরুজ্জামান (মুন্ন), লোন অফিস পাড়াস্থ আব্দুল হামিদের ছেলে শেখ লিটুর নিকট থেকে ব্যবসায়ীক কারনে ১২ লক্ষ টাকা গ্রহন করে, প্রতারক মনিরুজ্জামান (মুন্না) বিভিন্ন সময় অজুহাত দেখিয়ে পাওনাদার লিটুকে ঘুরাতে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। অসহায় লিটু শালিশীর মাধ্যমে তার পাওনা টাকা উদ্ধার করার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যায়। পরে প্রতারক মুন্না লিটুকে ইউসিবি ব্যাংকের একটি চেক প্রদান করে যা দফায় দফায় উক্ত চেকটি ডিজঅনার হয়। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরার পর শেখ লিটু বিজ্ঞ আদালতের স্মরনাপন্ন হন, একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৬০৭/২০১৫, সি.আর-২৪/১৫ বিজ্ঞ আদালত মামলার পর্যালোচনা শেষে প্রতারক মুন্নার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন, এর পর থেকে প্রতারক মুন্না কৌশলে গা ঢাকা দেন, পরবর্তীতে আদালত পুনরায় আর একটি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন, এটাও প্রতারনার মাধ্যমে গ্রেফতার এড়োনোর জন্য কোতয়ালী থানাকে ম্যানেজ করে প্রতারক মুন্না প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে বাদী শেখ লিটু তার অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা যায় বিজ্ঞ আদালত আসামী মনিরুজ্জামান মুন্নার বিরুদ্ধে ১৮৮১ সালের নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট এ্যাক্ট এর ১৩৮ ধারায় অভিযোগ আমলে নেয়া হয়, মামলায় সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে, একই সাথে চেকে বর্ণিত অর্থের দেড়গুন অর্থদন্ডে দন্ডিত করে, এরপর তার বিরুদ্ধে আটকাদেশ দেয়া হয় ২০১৫ সালের দন্ডাদেশ ও পরে আটকাদেশ দেয়া হলেও অদ্যাবধি মুন্না আটক হয়নি। গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট এসসি ৩৬৭/১৫, বিজ্ঞ আদালতের রায় গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকা সত্বেও আসামী মুন্না কুট কৌশল নিয়ে আটক এড়িয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মহসীন রোডস্থ হাওয়া ফ্যাশান ও মিতালী অপটিকসে নিয়মিত বসছে মুন্না।
এদিকে অসহায় শেখ লিটু অনাহারে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার পাওনা টাকা উদ্ধারের আশায়। এব্যাপারে অসহায় লিটু, পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply