শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে হত্যা করে শহরের খোলাডাঙ্গার একটি ডোবার মধ্যে ফেলে সটকে পড়ে। পরে পুলিশ তার বাধা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুত আটকের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে তার সহপাঠি ও এলাকাবাসী।মঙ্গলবার সকাল থেকে যশোর-ঝিনাহদহ মহাসড়কের ধর্মতলা এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে সহপাঠি ও এলাকাবাসী। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ওই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তৃশার ময়নাতদন্ত না হওয়ায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বিক্ষোভ করেছে।
যশোর কোতয়ালি থানার পুলিশ সদস্য হাসপাতালে দায়িত্বপালনকারী রুহুল আমিন বলেছেন,শিশু তৃশার মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে সোমবার রাতেই হাসপাতালে দেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার মঙ্গলবারহাসপাতালে না থাকায় ময়নাতদন্ত দেরি হচ্ছে।
ডিকেল কলেজে পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকায় তিনি দেরিতে এসেছে। তবে দুপুর ১টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
শিশু তৃশা হত্যাকান্ডের সাথে পুলিশ মণিরামপুর থেকে একজন এবং শহর থেকে একজনকে মোট দুইজনকে আটক করেছে বলে শহরে গুঞ্জন রয়েছে। তবে তৃশা হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার যশোর পুরাতন কসবার ইন্সপেক্টর শেহাবুর রহমান বলেছেন,নিহতের বাবা তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে ২/৩জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের সার্থে পুলিশ আটকদের নাম প্রকাশ করেনি।
উল্লেখ্য: সোমবার সন্ধ্যায় শহরের খোলাডাঙ্গা এলকায় মাটি চাপা দেয়া ওই শিশু বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগের দিন বিকালে খেলতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়। তৃশা শহরের খোলাডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে ও কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
Leave a Reply