বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
ডেক্স: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করেনি, এটি সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করেছে। তিনি বলেন, ডাকসু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণের জায়গা, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরতে পারেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুষ্টিয়া জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রকল্যান সমিতি (গড়াই) এ নবীন বরণের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে তাদের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত ও দাবি-দাওয়া পূরনের জন্য মূখ্য ভূমিকা পালন করবে।
ছাত্রদেরকে সমাজের সবচেয়ে সচেতন অংশ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ছাত্ররা ডাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে তাদের সচেতনতার পরিচয় দেবে। দেশের জন্য কাজ করতে গিয়ে কে কতটুকু কাজ করেছে তা তাদের দেখতে হবে।
বিএনপি ও ছাত্রদলের প্রসঙ্গ টেনে এ যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া যখন দেশের দায়িত্বে এবং বিরোধীদলের নেত্রী থাকাকালীন তখন তিনি দেশের জন্য কতটুকু দায়িত্ব পালন করেছিলেন? তার দলের নেতাকর্মীদের জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন রয়েছে কোন যুক্তিতে, আশায় আপনারা তাদের সঙ্গে নির্বাচনে যাচ্ছেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন টিউলিপ নামের একটি ডাচ কোম্পানী বাংলাদেশের তরুন শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার বিতরণ করতে চেয়েছিলো। কিন্তু কোম্পানীর নাম বঙ্গবন্ধুর নাতনীর নামে হওয়ায় তিনি প্রজেক্ট বাতিল করে দেন। যার জন্য একটা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল বাংলাদেশ।
খালেদা জিয়াকে অজ্ঞ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ২০০১ সালে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদেরকে সাবমেরিন কেবল অফার করলে দেশের তথ্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার অজুহাতে তা নেননি খালেদা জিয়া। যার খেসারত দিতে হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা।
ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারীদের যারা সমর্থন করে তারা আর যাইহোক ছাত্র সমাজের প্রতিনিধ হতে পারেনা।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সভাপতি মো. আল আমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মো. মাসুদ রানার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ, আরমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, বিসিএস প্রশাসন একাডেমির প্রশাসন বিভাগের যুগ্নসচিব এ কে এম সোহেল, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাহিদুল হাসান, ছাত্রলীগ সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
সুত্র:সকালের সময়
Leave a Reply