শহিদ জয় যশোর : নড়াইলে ইজিবাইক চালক রোহান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)যশোর। রোহান হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অভিযোগে পিবিআই ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের তিন সদস্যকে আটকের পর তারা হত্যাকান্ডের বর্ননা দিয়ে আদালতে দায় স্বীকার করে। আটককৃতরা হচ্ছে নড়াইল জেলার কোমরখালি গ্রামের আলিম মোল্লার ছেলে আলমামুন (১৯) একই গ্রামের মঞ্জুর শেখের ছেলে শাহিন শেখ (১৯) ও ভোয়াখালি (বিশ্বাস পাড়ার ) মৃত রফিকের ছেলে মাসুদ রানা (৩১)। আটককৃতদের কাছ থেকে নিহত রোহানের ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
যশোর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৬ নভেম্বর রাত ২ টা ২০ মিনিটে নড়াইলের বাড়ি থেকে প্রথমে আল মামুন ওই রাতে ৩ টার দিকে মাসুদ রানা ও একই দিন বিকেলে সদর থানার টার্মিনাল এলাকা থেকে শাহিন শেখকে গ্রেফতার করা হয। আটককৃতদের দেয়া তথ্য মতে তাদের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে নিহত বোরহানের মোবাইল ও যশোরের উপশহর থেকে লুন্ঠিত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত রোহানের পিতা ডাঙ্গা সিঙ্গিয়া গ্রামের চাঁন মিয়া বাদি হয়ে ২৫ নভেম্বর নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি অজ্ঞাত দেখানো হয়। এর আগে ২৫ নভেম্বর নড়াইল সদর থানাধীন তুলারামপুর ইউনিয়নের বামনহাট (মাইজপাড়া টু গাবতলা) পাকা রাস্তা থেকে আবু রোহান মোল্লার (২০), মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) আটককৃতদের নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে হাজির করা হলে তারা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি প্রদান করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, অভিযুক্ত আল মামুন ও শাহিন শেখসহ তাদের সহযোগীরা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের একটি সক্রিয় চক্র। ২৪ নভেম্বর তারা রোহান মোল্লার ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনানুযায়ী ওই দিনই সন্ধ্যার দিকে অভিযুক্তরা পাশ্ববর্তি বামনহাট এলাকায় গানের অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়ার কথা বলে ভিকটিম রোহান মোল্লার ইজিবাইক ভাড়া করে রওনা হয়। একপর্যায়ে তারা নড়াইল সদর থানার বামনহাট (মাইজপাড়া টু গাবতলা) পাকা রাস্তার উপর পৌছালে অভিযুক্ত আল মামুন ও শাহিন শেখসহ তাদের সহযোগীরা পরিকল্পনা অনুযায়ী ইজিবাইক চালক রোহান মোল্লা গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মৃতদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে ভিকটিমের মোবাইল ও ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত আল মামুন ও শাহিন শেখদের সহযোগীরা অভিযুক্ত মাসুদ রানার নিকট ৮০, হাজার টাকায় ভিকটিমের ইজিবাইক বিক্রি করে। অভিযুক্ত মাসুদ রানা জানায়, সে একজন পেশাগত চোরাইমাল ক্রয়কারী। অভিযুক্তরা পরিকল্পনানুযায়ী হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
Leave a Reply