বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : যশোর শহরতলী উপশহর বাবলাতলার ডাক বাংলোর পিছনে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে শুক্রবার ১৩ নভেম্বর ছোট ভাইয়ের হাতে বড়ভাই খুন হয়েছে। উপশহর ডাকবাংলার পশ্চিমপাশে সিরাজুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছোটবোন রীনা পারভিনের বাসায় কথা কাটাকাটির জের ধরে বড়ভাই মিরাজ জমাদ্দার (২৮) ছুরিকাঘাত করে ছোট ভাই ইরান হোসেন (২৪)। যশোর জেনারেল হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত মিরাজ শহরতলীর পাগলাদহ গ্রামের মানিক জমাদ্দারের ছেলে। এ ঘটনায় মিরাজ জমাদ্দারের বড় স্ত্রী সাথী বাদি হয়ে দেবর ইয়াছিন জমাদ্দার ওরফে ইরানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।#
নিহতের বোন রোজিনা জানিয়েছেন, তারা চার বোন, দুই ভাই। বাড়ি পাগলাদহ গ্রামে। ছোট বোন ময়না উপশহর ডাকবাংলার পশ্চিমপাশে ভৈরব নদের পাড়ে সিরাজুল ইসলাসের বাড়িতে ভাড়া থাকে। ময়না শুক্রবার ১৩ নভেম্বর ভাইবোনদের তার ভাড়া বাড়িতে দাওয়াত দেন। সে মোতাবেক সকলে ওই বাড়িতে যান। নিহত মিরাজের দুই বউ। দুপুরে মিরাজ গোছলের জন্য টিউবওয়েল চেপে দেয়ার জন্য বড় বউ সাথীকে বলে। সে সময় তারা বলেন বড় বউ বেড়াতে এসেছে। টিউবওয়েল চেপে দিবে ছোট বউ রেহেনা খাতুন। কারণ ছোট বউ উপশহর নদীরপাড় এলাকায় ভাড়া থাকে। এই নিয়ে কথাকাটাকাটি ও তর্ক বিকর্ত হয়। ছোট ভাই ইরান ও তার স্ত্রীও ওই কথাকাটাকাটির মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে ইটের আঘাতে ইরানের স্ত্রীর পায়ে ক্ষত হয়। বিকেলে ইরানের স্ত্রীকে মিরাজ ও ইরান ইজিবাইকে করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ওই বাড়িতে ফিরে মিরাজ ও ইরান হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ইরান মিরাজের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করলে মাটিতে পড়ে যায়। পরে তাকে হাপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। মিরাজকে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
রোজিনা আরো জানিয়েছেন, মিরাজ মাদক সেবী। দিন মজুরের কাজ করে। দুই ভায়ের মধ্যে কার হাতে ধারালো অস্ত্র ছিলো তা কেউ দেখেনি। শুধু মিরাজকে বুক চেপে পড়ে যেতে দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমীয় দাস জানিয়েছেন, বুকের বাম পাশে রোগীর ক্ষত দেখা গেছে। সম্ভাবত হার্ট ছিদ্র হয়ে যাওয়ার রক্তক্ষরণ হয়েছে। এতে তিনি মারা যান। তবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। শনিবার মিরাজ জমাদ্দারের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মিরাজ জমাদ্দারের বড় স্ত্রী সাথী খাতুন বাদি হয়ে দেবর ইয়াছিন জমাদ্দার ওরফে ইরানের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ছোট ভাই ইয়াছিন জমাদ্দার ওরফে ইরানকে গ্রেফতার করতে পারেনি গত ২৪ ঘন্টায়।
Leave a Reply